নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: ২০২১ মানেই নির্বাচনের মহারণ। ১০বছর ক্ষমতায় থাকার পর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে রাজ্যের শাসকদল। ২০১৮ লোকসভায় জোর ধাক্কা খেয়েছে সরকারের ভাব মূর্তি। বিপুল জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামার ইঙ্গিত মিলেছিল ২বছর আগেই। আর ২বছর পরে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শাসকদলে শুরু হয়েছে ভাঙন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে তাই রাজ্য সরকার নিয়েছেন বিভিন্ন প্রচার মূলক কর্মসূচি। ২০২০ সালের শেষে সেই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছিল দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান ইত্যাদি। এরপর ২০২১শের শুরুতেই আসল ‘বাংলা মোদের গর্ব’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে প্রতিটি জেলায় মেলা, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যার মূল উদ্দেশ্যই হল সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও কল্যানমুলক প্রকল্প গুলির ব্যাপক প্রচার করা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে “বাংলা মোদের গর্ব।’ সেই উপল্যক্ষে সেজে উঠেছে কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে। জেলা সদর শহর মেদিনীপুরে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে “বাংলা মোদের গর্ব” শীর্ষক অনুষ্ঠান। তিনদিনের এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে ১লা জানুয়ারি শুক্রবার,চলবে ৩ রা জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার জানান, তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে থাকছে স্বসহায়ক দলগুলির তৈরি দ্রব্য সামগ্রীর প্রদর্শনী, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, পুষ্প প্রদর্শনী,রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপর প্রদর্শনী এবং “উন্নয়নের পথে মানুষের সাথে” শীর্ষক প্রদর্শনী।
পাশাপাশি অনন্যা মজুমদার আরো জানান,মূল সাংস্কৃতিক মঞ্চে থাকছে তিনদিন ব্যাপী স্থানীয় শিল্পী,লোকপ্রসার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত শিল্পী এবং কোলকাতা থেকে আগত বিশিষ্ট শিল্পীদের অনুষ্ঠান। মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে তিন দিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায়। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে শুক্রবার কোলকাতার শিল্পী সহজ মা ও অরিজিৎ চক্রবর্তীর অনুষ্ঠান রয়েছে। শনিবার কোলকাতার শিল্পী সৌমিত্র রায় ও অস্মিতা করের অনুষ্ঠান রয়েছে। রবিবার রয়েছে কোলকাতার শিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কোলকাতার পরিবর্তন ব্যান্ডের অনুষ্ঠান ।
পাশাপাশি জেলার লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে ঝুমুর গান,ছৌ নৃত্য,পাইক নৃত্য,রায়বেশে নৃত্য, সাঁওতালি নৃত্য। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জেলার শিল্পীরা এবং জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা।থাকছে স্থানীয় আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন স্থানীয় ব্যান্ড গুলির শিল্পীরাও।কিছু একক অনুষ্ঠান যেমন রয়েছে তেমনি সমবেত অনুষ্ঠানও থাকছে। কোভিড সংক্রান্ত বিধি মেনেই তিন দিনের অনুষ্ঠান হবে।
ইতিমধ্যে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মূল মঞ্চ তৈরি ও বিভিন্ন স্টল তৈরীর কাজ প্রায় শেষের মুখে। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই অনুষ্ঠানের প্রচারে যেমন হোডিং দেওয়া হয়েছে , তেমনি হ্যান্ডবিল বিলি ও মাইক প্রচারের মাধ্যমে জণগনের কাছে এই অনুষ্ঠানের বার্তা পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।