নিউজ ডেস্ক:গত কয়েকমাস ধরেই ক্ষোভ বাড়ছিল শ্রমিকদের। প্রতিশ্রুতি মত সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার নাম করে ক্রমাগত তাঁদের ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমনই অভিযোগে ফুঁসছিলেন শ্রমিকরা। তাই নিয়েই সেল্ফ এমপ্লয়েড লেবার অর্গানাইজেশনের বৈঠকে রণক্ষেত্র নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় না আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অসংগঠিত শ্রমিকরা।সোমবার দুপুরে এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্যে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটক সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সুরাহা হওয়া তো দুরের কথা তাদের সামনেই চলল চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ির মত ঘটনা ।স্টেডিয়ামের ভিতরেও ভাঙচুর হয় বলে জানা যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই দেখা দেয় উত্তেজনা। বৈঠকে সমাধানসূত্র না মেলায় পথ অবরোধ করা হয়।
জানা গেছে অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার খাতে যে টাকা তোলা হত, তার জন্য এই অর্গানাইজেশন কমিশন পেত। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে এই কমিশন পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই মন্ত্রীরা সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।
গেট ভেঙে ফেলার পাশাপাশি হোর্ডিং-ফ্লেক্সও ভেঙে ফেলে অসংগঠিত শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এদিন মন্ত্রীরা এ সম্পর্কে কিছু বলেননি। রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিগ্রহের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভকারীরা অবস্থানে বসেছেন। বেতন কাঠামো ও সামাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়ে তাঁরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন বলে দাবি তাদের।কিন্তু সে ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। দাবি না মেটা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন।এদিকে ঘটনাস্থলে এসেছেন লালবাজার থানার পুলিশ।বিক্ষোভকারীদের ওঠাতে পারেনি পুলিশ। গোটা বিষয়টি ঘিরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসক শিবির। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন বিকল্প খুঁজছেন মন্ত্রীরা।