তিন্নি দে :অভিষেক ব্যানার্জীর সভায় ডায়মন্ডহারবারে উপচে পড়েছিল জনসমুদ্র। এই সময়কালে অর্থাৎ সঙ্কট কালে এই ভিড় হওয়াটাই ছিল রবিবারের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে শুভেন্দুর পদযাত্রা ও সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। যুযুধান এই দুই প্রতিযোগির মধ্যে শুভেন্দুকে টেক্কা দেওয়াটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জ রবিবার অভিষেকের নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবার মিটিয়ে দিলেও কাঁটা হয়ে রয়ে গেল দলেরই দুই বিধায়কের অনুপস্থিতি যা রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের অন্দরে।দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হয়েছিল।যা শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি।
অভিষেকের সভায় গরহাজির ওই দুই বিধায়ক হলেন দুলাল দাস ও ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।তাদের অনুপস্থিতির কথা সামনে আসতে শুরু হয় জোর জল্পনা।তাহলে কী এবার অভিষেকের গড়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বিদ্রোহ?প্রশ্ন উঠছে।
যদিও এবিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সাফাই,কোনও জল্পনা নেই।দীপক হালদার ও দুলাল দাস অসুস্থতার কারণে এদিনের সভায় যোগ দিতে পারেননি বলে জানান তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খান। তিনি আরও জানান,তারা আগের থেকেই জানিয়েছিলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না সভায়।
দলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফোঁস করেছিলেন বিধায়ক দীপক হালদার।তিন দিন আগে সোশ্যাল সাইটে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি।”বারবার সংবাদ শিরোনামে দেখে নিশ্চিত হলাম যে ডায়মন্ডহারবার বিধানসভায় নতুন বিধায়ক তৈরী হয়েছেন।”তিনি আরও বলেন “বিধায়ক মহাশয় কাজ চালিয়ে যান।ডায়মন্ডহারবারের গণদেবতারা সব দেখছেন।ঠিক সময়ে উত্তর পেয়ে যাবেন।”
শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীত্ব ছাড়ার ঘটনায় মর্মাহত ছিলেন দীপক হালদার।স্থানীয় তৃণমুল নেতারা সবসময় জাহির করেছেন বিধায়করা তেমন কোনো কাজ করেননা।কাজ অভিষেক ব্যানার্জী করেন।এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি দীপক হালদার।ফলস্বরূপ তিনি দুরে সরছেন দলের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে।