জব ডেস্ক: (৬ মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন আর তার আগেই কলকাতা পুরসভা। সেমিফাইনাল আর ফাইনাল এই দুই নির্বাচনের মুখে দরাজ রাজ্য সরকার বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ করতে চলেছেন। শুধুই শূন্য পদ নয়, সরকারের লক্ষ্য নতুন নতুন পদ তৈরি করে বেকার যুবক যুবতীদের নিয়োগ করা। লক্ষ্য শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য সরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া। ফলে নির্বাচনের আগেই বড়সড় সরকারি চাকরির সুযোগ হাজির হচ্ছে। কোথায় কখন কী ভাবে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে, কী ভাবে আবেদন করবেন, কবে আবেদনের শেষ দিন ইত্যাদি যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখছি আমরা। আপনারা নজর রাখুন আমাদের পোর্টালের ওপর। ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ হোয়াটস্যাপ গ্রূপে চলে আসুন নিচে দেওয়া লিংক ক্লিক করে অথবা আমাদের Facebook পেজ লাইক করে রাখুন। আমরা যখন জেগেই আছি তখন শুধু শুধু আপনি আপনার ঘুম নষ্ট করবেন কেন? সকালে উঠুন আর চোখ রাখুন আমাদের ‘কাজের কথা’য়! আজ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা। )
স্বল্প পড়াশুনা কিন্তু অসম্ভব শারীরিক সক্ষমতা নিয়েও আপনি যে কাজটি করতে পারেন তা’হল পুলিশে চাকরি। হতে পারে আপনার কোনো কারনে উচ্চ শিক্ষা নেওয়া হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে আপনি নিজেকে পরিশ্রমী ও দুর্দান্ত শারীরিক সক্ষম করে গড়ে তুলেছেন। ব্যাস, আর কেন? সুযোগ নিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কাজ করার। এখানে আপনি নিজেকে ফের গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। একজন কনস্টেবল এএসআই, এসআই, ইন্সপেক্টর, ডেপুটি পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সুপার এমনকি ডিআইজি হয়ে অবসর নিয়েছেন এমন নজির এই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশেই রয়েছে। তবে আর কেন তৈরি হোন পুলিশে আসার জন্য।আর আপনার জন্য সুখবর। পুলিশ বাহিনীতে ১০ হাজার ৩৭০ জন কর্মী নিয়োগের (WB Police Recruitment 2020) সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ৯ হাজার ২০০-র বেশি নিয়োগ করা হবে কনস্টেবল পদে, তা এর মধ্যে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুলিশে এই বিপুল সংখ্যক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদে ৯ হাজার ২৮৮টি আসনে নিয়োগ করা হবে। অন্যদিকে, সাব-ইনস্পেক্টর পদে শূন্য আসন সংখ্যা ১ হাজার ৮২টি। খুব শিগগির এই সমস্ত পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ কর্মী ১৫ বছর কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের জেলায় পোস্টিং চেয়েছেন। এই ব্যাপারে ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৩৫ হাজার পুলিশকে তাঁদের নিজের জেলায় বদলি করা হয়েছে।‘
এ ছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিনের বৈঠকে আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ১১টি নতুন পুলিশ সাব-ডিভিশন গঠন। এগুলি হল ডালখোলা, ইটাহার, ফারাক্কা, হাবড়া, দেগঙ্গা, বাদুড়িয়া, বাগদা, হাসনাবাদ, সাগর, গোপীবল্লভপুর এবং বেলপাহাড়ি। পাশাপাশি তিনটি পুলিশ সার্কেল গঠন করা হচ্ছে; পাথর প্রতিমা, নামখানা এবং সাগর।
পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রশাসনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ সরকার। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লক আয়তনে খুব বড়। প্রশাসনিক প্রয়োজনে এই ব্লককে দু’ভাগ করার প্রস্তাব এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভা মঞ্জুর করেছে। উত্তরবঙ্গের এই জেলায় বানারহাটকে নতুন ব্লক তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বের হওয়া মাত্রই পেয়ে যাবেন ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ে। চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন আপডেটের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে নজর রাখুন কিংবা আমাদের পেজে। এখনও যদি না আমাদের গ্রূপে জয়েন করে থাকেন তবে নিজেও করুন, অন্যদের করান।