নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বড়সড় নিয়োগ ধামাকা রাজ্য সরকারের। একের পর এক বিভিন্ন সরকারি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বা হতে চলেছে তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল মূখ্যমন্ত্রীর
ঘোষনায় যেখানে তিনি রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে একলপ্তে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবারএকটি সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল, বুধবারই এই শিক্ষক নিয়োগের নোটিশ জারি বলে জানিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রী। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি এবং ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারেও জানালেন তিনি।
এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য রিক্রুটমেন্ট নোটিশ জারি করবে প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড। ২০২১ এর ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল তৈরী করা হবে। পাশাপাশি টেট পরীক্ষার বিষয়ে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ জানুয়ারি অফলাইনে তৃতীয় টেট পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় বসবে আড়াই লক্ষ আবেদনকারী।
রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষক ও পুলিশকর্মীরা অনেকদিন ধরেই নিজের জেলা বা বাড়ির কাছে বদলির আবেদন জানিয়ে এসেছেন সরকারের কাছে। এদিন তা নিয়েও সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন তিনি জানান, ‘১৫ বছর ধরে কর্মরত হোমগার্ড, কনস্টেবল, এসআইয়ের মতো পুলিশকর্মীরা নিজের জেলায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যতটা সম্ভব আমরা করে দেব বলেছি।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এ পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের থেকে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন মিলেছে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার পুলিশকর্মীকে তাঁদের পছন্দের জেলায় বদলি করা হয়েছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্বাচনে মসনদ টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল অন্যদিকে বিরোধী শক্তি বিশেষ করে বিজেপি মরিয়া ক্ষমতায় আসতে। মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই সেই মহারণ নির্ধারণ করে দেবে বাংলার ভবিষ্যত।
তারই আগে এই নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণা কিছুটা হলেও অগ্রাধিকার দেবে তৃনমূলকে। যদিও সমস্যাও কম নয়। এ যাবৎ কালের বেশিরভাগ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে ধাক্কা খেয়েছে সরকার। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামলায় মামলায় জেরবার সরকার। সম্প্রতি তেমনই ধাক্কা এসেছে আপার প্রাইমারিতে। চলতি প্যানেল বাতিল করে ফের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে বলেছে আদালত। এখন দেখার এই ক্ষেত্রেও সেরকম প্রতিবন্ধকতায় যেন না পড়ে সরকার।