নিজস্ব সংবাদদাতা: কোথাও ভোর ৪টা আবার কোথাও ভোর ৫টা থেকে লম্বা লাইন। লাইন মানে লাইন নয়, থিক থিকে ভিড়। বেশিরভাগ জায়গাতেই স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম নেওয়ার জন্য কিন্তু কোথাও ৪টি আবার কোথাও ৫টি ওয়ার্ডের ফর্ম এক সাথে নেওয়ার ব্যবস্থা কিন্তু সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত টেবিল এবং কর্মী না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে জনতা এবং কর্মী দু’তরফেই। এমনটাই লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার ইন্দা বালিকা বিদ্যালয়ে। জানা গেছে এখানে ৫টি ওয়ার্ডের ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছে। ১,২,৩,২২ ও ২৩নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দেখা গেছে ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়েছেন ফর্ম জমা দিতে। বেলা ৮টার সময় সেই লাইন স্কুলের সামনে থেকে রাস্তা পেরিয়ে ইন্দা বয়েজ স্কুলের পেছনের মাঠ ছাড়িয়ে এদিক ওদিক পাক খেয়েছে।
প্রায় ১২০০মিটার এ ওর গায়ে হুমড়ি খেয়ে লাইন দিয়ে রয়েছেন। ফর্ম জমা নেওয়ার সময় বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৪টা। বেলা ১১টা নাগাদ ভিড় থিক থিক করছে। বাড়ির যুবকরা সাধারন ভাবে কর্মস্থলে স্বাভাবিকভাবেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই যন্ত্রণার ভাগ বইতে হচ্ছে বয়স্ক বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের। জানা গেছে হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ড ৪ দিন করে সময় পাচ্ছে এই ফর্ম জমা দেওয়ার। দেখে নিন কবে কোথায় কোন ওয়ার্ডের ফর্ম জমা দেওয়া যাবে:
শুধু ইন্দাই নয়, এই একই অবস্থা সর্বত্রই। শুধু ফর্ম জমা দিতেই যে এমন ভিড় হচ্ছে তাই নয় এমনই ভিড় দেখা যাচ্ছে পৌরসভায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বানানোর জন্য ফটো তোলার জন্য। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য তবুও পরিবারের একজন গেলেই চলছে কিন্তু ফটো তোলার জন্য পরিবারের সব্বাইকে যেতে হচ্ছে ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন খড়গপুর শহরের ‘আমরা বামপন্থী’ সংগঠন।
খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে তারা দাবি করেছেন যে, করোনা সংক্রমন কালে যে অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে তা রীতিমত বিপজ্জনক। এরফলে করোনা সংক্রমন বেড়ে যেতে পারে। তাঁদের দাবি ওয়ার্ড ভিত্তিক ফর্ম নেওয়ার পরিকল্পনা করা হোক এবং পৌরসভার পাশাপাশি আরও ১০/১২টি জায়গায় ছবি তোলার ব্যবস্থা করা হোক। উল্লেখ্য স্বাস্থ্যসাথীর পাশাপাশি এই ক্যাম্পগুলি থেকে রেশনকার্ড সংশোধন বা নতুন কার্ড, কন্যাশ্রী ইত্যাদি সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।