নিউজ ডেস্ক: সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ঘন্টা আগেই কে তাঁর কাছাকাছি যাবেন তাই নিয়ে শক্তি প্রদর্শনে নামলেন বিমল গুরুং আর বিনয় তামাং। সামনেই বিধানসভার নির্বাচন আর সেই নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে শাসকদলের প্রসাদ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টায় গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার দুই নেতা বিমল গুরুং আর বিনয় তামাং।
একদা বিমল গুরুংকে পাহাড় ছাড়া করিয়ে বিকল্প হিসেবে আনা হয়েছিল বিনয় তামাংকে কিন্তু বিনয়কে দিয়ে পাহাড়ে খুব একটা লাভবান হবেনা বলেই হয়ত ফের বিমলকে পাহাড়ে এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে আর তাতে বিপদে পড়েছেন হঠাৎ নেতা হয়ে ওঠা বিনয় তামাং। বিমল ফেরায় আবার তিনি দু’নম্বরে নামার দিকে। তাই শক্তি পরীক্ষায় রবিবার দুই নেতা নেমে পড়লেন শক্তি পরীক্ষায়। ।
রবিবার বীরপাড়ায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং সভা করলেন আর তারই পালটা শুকনায় বিনয় তামাঙ। স্বাভাবিক ভাবেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই শিবিরের কর্মকান্ডে বাড়ছে উত্তরের রাজনীতির পারদ।নির্বাচনে উত্তর দখলের লড়াইয়ে বিমল ফ্যাক্টর কি সত্যি কাজ করে?থেকে যায় প্রশ্ন।নাকি পাহাড়ে এই সাড়ে তিন বছরে একচ্ছত্র অধিকার বিস্তার করেছে বিনয় তামাঙ?প্রশ্ন অনেক উত্তরের অপেক্ষায়। হয়ত সেই উত্তর খুঁজতেই তিনদিনের সফরে মূখ্যমন্ত্রী নিজেও।
এদিনের সভায় বিনয় তামাং জানালেন, বিমল-রোশন তার সিলাবাসে নেই।শিলিগুড়ির অদূরে শুকনায় জনসভা করলেন বিনয় তামাঙ,অনিত থাপা।গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিনয় শিবিরের অনুগামীদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়।সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিনয় তামাঙ বলেন,তারা চান সাংবিধানিক স্বীকৃতি।স্বাধীনতার পর ৩৫ টি এলাকা স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু দার্জিলিং,ডুয়ার্স,তরাই রয়েছে সেই তিমিরেই।সাংবিধানিক স্বীকৃতি না মিললে আন্দোলন হবে।মুখ্যমন্ত্রী নকশালবাড়ি,দার্জিলিং,কালচিনিতে তিনবার গোর্খাদের স্বীকৃতির কথা বলেছিলেন।তাদের আস্থা রয়েছে তার প্রতি।তবে ইন্দো ভূটান,ইন্দো নেপাল চুক্তি খারিজের দাবি তোলেন তিনি।
অন্যদিকে মোদী সরকার তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়েছেন তারা কিন্ত বিজেপি এর প্রতিদান দেয়নি। ২০২১ সালে বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো । এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার প্রগতি ক্লাবে জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এভাবে বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিল মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
এদিন বিমল বীরপাড়ার জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি জানান ডুয়ার্সকে ভালোবাসেন।তাই পাহাড়ে না গিয়ে ডুয়ার্সে এসেছেন। এদিনও তিনি জানান তারা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চান।তিনি এও বলেন গৃহমন্ত্রী হবার আগে অমিত সাহ অনেক বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।কিন্ত গৃহমন্ত্রী হবার পুরো কথাবার্তা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কিছুই করছেননা। অর্থাৎ বিমল তাঁর বিজেপি বিরোধিতার মধ্যে দিয়েই মূখ্যমন্ত্রীকে নিজের আনুগত্যের বার্তা দিলেন।