নিজস্ব সংবাদদাতা: গোটা লকডাউন কেটে গেছে তবু রেশন জোটেনি ৮ মাস! এমনই দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন শতশত মানুষ। জায়গাটা আবার খোদ জঙ্গলমহল যেখানকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বলে দাবি করে থাকেন। আর মাত্র কয়েকমাস পর যেখানে নির্বাচন আর সেই নির্বাচনী বৈতরণী পের হতে যখন দুয়ারে দুয়ারে সরকার তখন নিজের দুয়ার ছেড়ে রাস্তায় জনতা! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটল ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবলভপুর-২ এলাকার কানপুর এলাকায়। রবিবার ছুটির দিনে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন মানুষ।
বিক্ষোভ রত জনতার দাবি, লকডাউনের শুরুর মাস দূয়েক পর থেকেই রেশন থেকে বঞ্চিত কানপুরের গ্রাম। পঞ্চায়েত, ব্লক দপ্তর এমনকি জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগ জমা দিয়েও মেলেনি সুরাহা তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি আজও পর্যন্ত গরীব মানুষের জন্য রেশন দেওয়ার ব্যাবস্থাই করা হয়নি। গত আট মাস বঞ্চনার প্রতিকার চেয়ে রবিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম গোপীবল্লভপুর রাজ্য সড়ক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন কয়েকশ গ্রামবাসী।
ঘটনাটি গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কানপুর মৌজায়। এদিন রাজ্য সড়কের তিন মাথার প্রতিটি রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। জনতা দাবি করেন হালে সরকার ঘরের দূয়ারে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বটে কিন্তু তার অনেক আগেই গ্রামের মানুষ সরকারের ঘরে গিয়ে সারা5 পাননি। ডিজিটাল কার্ড নেই বলে কানপুর গ্রামের প্রায় নয়শ পরিবারের নব্বই ভাগ মানুষ দীর্ঘ আট মাস রেশন পাচ্ছেন না। দাবী ওঠে বকেয়া রেশন সহ অবিলম্বে রেশনের উপকরন গরীব পরিবার গুলিকে দিতে হবে।
জনতার দাবি, দুয়ারে নয়, খোদ প্রশাসনের ঘরে যেমন পঞ্চায়েত, ব্লক দপ্তর, বিধায়ক সহ জেলা শাষকদপ্তরে সমাধান চেয়ে দরখাস্ত জমা পড়লেও আট মাস সময়েও সমাধান হয়নি। এমনটাই জানালেন জয়কৃষ্ণ দেহুরি, লাল্টু দেহুরি, সঞ্জিত দে, সোমা কালিন্দী, শিবু ঘোড়াইদের। তাঁদের দাবি রেশন অবিলম্বে চালু করতে হবে এবং বকেয়া আট মাসের রেশন দিতে হবে। সেই দাবীতে পথ অবোরোধ করে বিক্ষোভ। সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধের খবর পেয়েই স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সমাধান করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তাঁদের দাবী, জেলাশাসক অথবা পুলিশ সুপারকে আসতে হবে ঘটনাস্থলে। যদিও শেষ অবধি তাঁদের বদলে তাঁদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে এসেই এই সপ্তাহে রেশন চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বেলা সাড়ে বারোটায় অবরোধ মুক্ত করতে সক্ষম হন। গ্রামের মানুষ দাবী করে গ্রামে নয়শ পরিবারের জন্য রেশন দোকান চালু সহ বকেয়া আট মাসের রেশন সরকারকে দেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। নাহলে আবারও পথ অবোরোধ সহ বড়সড় কর্মসূচী নেওয়া হবে। বলে ঘোষনা করা হয়।