নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঘাড়ের ওপর বিধানসভা নির্বাচন।যদিও দিনক্ষণ এখনো ঠিক নেই তবে তার আগেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে শাসক বিরোধী শিবির।ঘাত প্রতিঘাতের রাজনীতিতে সরগরম গোটা বাংলা।শুধু বিধানসভা নির্বাচন নয়,পুর নির্বাচন নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। এরই মাঝে তিনদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।সঙ্গে থাকছেন আরও দুই কর্তা।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী ১৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসতে পারেন তাঁরা। শনিবার পর্যন্ত বাংলায় থাকতেও পারেন। রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করে ভোট প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখবেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় জেলাশাসকদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বৈঠক হয়েছে বলে জানা যায়। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সিইও দপ্তর। আগামী সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকের কথাবার্তা রয়েছে। এছাড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বুথ ম্যাপিংয়ের কাজ।
২০১৯ এ লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় তিন দিনের সফরে এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়ার কাজও শুরু করে দিয়েছে কমিশন। যদিও বিরোধীরা বারবারই বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
এদিকে শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাম প্রতিনিধিদল। তাঁদের দাবি, মৃত ও ভুয়ো ভোটার রয়েছে একাধিক এলাকার নির্বাচনী তালিকায়। স্মারকলিপিতে নির্দিষ্ট করে ৯টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নাম উল্লেখ রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, মৃত ও ভুয়ো ভোটারের কারণেই নির্বাচনের সময় ছাপ্পা ভোট পড়ছে৷
স্মারকলিপিতে নির্দিষ্ট করে যে ৯টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – বিধাননগর পূর্ব, বারাসত, মহেশতলা, বেহালা পূর্ব,মেটিয়াব্রুজ, যাদবপুর, বারুইপুর পশ্চিম, ফলতা ও বিষ্ণুপুর তপশিলি কেন্দ্র।