নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং পঞ্চায়েত সমিতির চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০দিনের কাজে দুর্নীতি অত্যন্ত গভীরে বলেই উঠে আসছে প্রাথমিক ভাবে। এ নিয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে এবং অনুমান লক্ষ লক্ষ টাকা তছনছ হয়েছে এমজিএনআরজিএ-য়ের বিভিন্ন প্রকল্পে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শুধু মাত্র খড়িকা সংসদেই ১০০দিনের কাজ করেননি এমন ৬জনের নামে তাদের জব কার্ড নম্বর ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে এবং সেই টাকা স্থানীয় কিছু তৃনমূল নেতা উইথড্রল স্লিপে সই করিয়ে তুলেও নিয়েছে এমনটাই এখনও অবধি জানা গিয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও ওই সংসদের অন্তর্গত ঘুসিঙ্গা গ্রামের অপূর্ণ সানা ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি তাঁদের টাকা তুলে দেননি স্থানীয় নেতাদের হাতে আর সে কারনেই তাঁকে তৃনমূল নেতারা হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে এমন একটি আভিযোগ তিনি থানায় দায়ের করেন। পাশাপাশি কাজ না করেই তাঁর নামে কি করে টাকা বরাদ্দ হল তা জানতে চেয়ে আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিষয়টি শনিবার প্রধান উষা রানী দাস গৌরার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রবিবার প্রধান জানান, সানার আভিযোগ তিনি পেলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যস্ততায় তা দেখা হয়নি তবে এবার তা খতিয়ে দেখা হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রধান আরও জানান, স্থানীয় স্তরের পঞ্চায়েত ও সুপারভাইজাররাই মুলত এই ধরনের প্রকল্প করে থাকেন। প্রধান সাধারনভাবে সেই প্রকল্পে সই করে থাকেন মাত্র। যদিও বাস্তবে এটা ঠিক হলেও প্রশাসনিক প্রধান এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক এই প্রকল্পগুলির জন্য দায়বদ্ধ এবং তছরূপের আভিযোগ প্রমানিত হলে তার সম্পূর্ন আইনি প্রক্রিয়া এই দুজনের বিরুদ্ধেই করা হয়ে থাকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক জয়দেব খাটুয়া বলেছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আভিযোগ পত্র জমা হলেও তিনি তা দেখেননি এবং সোমবার কার্যালয় খুললেই তিনি তা খতিয়ে দেখবেন কিন্তু খাটুয়া এটা স্বীকার করেছেন যে, কেউ কাজ না করলে তাঁর নামে টাকা ঢুকতে পারেনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অপূর্ণ সানা এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলির নামে যে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এবং যা তৃনমূল নেতাদের হাতে তুলে দিতে বলা হচ্ছে বলে আভিযোগ সেই টাকা তিনটি পৃথক প্রকল্পের ১০০দিনের কাজের। এরকমই আপাতত আরও ৬জনের সন্ধান মিলেছে যাঁরা কাজ না করেই টাকা পেয়েছেন। এর বাইরে আরও কতজন আছেন ?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দ্বিতীয়ত: কাজ না করেই টাকা পাওয়ার অর্থই কাজই হয়নি, ভুয়ো প্রকল্প, যা মারাত্মক দুর্নীতির সামিল। যে তিনটি প্রকল্পে অপূর্ণ সানার খাতে টাকা ঢুকেছে সেগুলি নিশ্চিতভাবেই কাজ না হওয়া। কারন সানা নিজেই বলছেন তাঁরা কাজ করেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রধান বলেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত বিষয়টি জানেন এবং আরও জানেন স্থানীয় সুপারভাইজার। স্থানীয় পঞ্চায়েত লিপিকা মেইকাপকে পাওয়া যায়নি। শোনা যাচ্ছে তাঁর স্বামী সম্প্রতি একটি আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারনে দুজনই বেশিরভাগ সময় আত্মগোপনে থাকেন। অন্যদিকে সুপারভাইজার তত্ত্ব আরও জটিল। নিয়ম অনুযায়ী স্বসহায়কদল গুলিকে সুপারভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয় যাতে তাঁরা কিছুটা রোজগার করতে পারেন। কিন্ত এখানে এসব দায়িত্ব পান স্থানীয় তৃনমূল নেতারাই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরকমই একজন নেতা কাম সুপারভাইজারই হলেন তাপস নায়েক যাঁর বিরুদ্ধে সানা থানায় আভিযোগ দায়ের করেছেন, ইনিই এবং আরও একজন টাকা তুলে দিতে বলে হুমকি দিচ্ছেন অপূর্ণ সানাকে। এঁরাই উইথড্রলে সই করিয়ে ৬টি পরিবারের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে আভিযোগ যদিও নায়েক দাবি করছেন, এসবের তিনি কিছুই জানেননা। সব প্রধান ম্যাডাম জানেন। অর্থাৎ এঁরাও পরিষ্কার নিয়মটা জানে যে, সব দায় গিয়ে বর্তাবে প্রধান, পঞ্চায়েত আর নির্মান সহায়কদের ঘাড়েই , নেতাদের ধরা যাবেনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সবং জুড়ে এরকমই বহু প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের লাখ লাখ টাকা তছরূপ চলছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলগুলি। সবংয়ের মানু্ষের কাছে ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ য়ের পক্ষ থেকে আবেদন এরকম কিছু নজরে এলে তা আমাদের জানান। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বহুমুখি প্রকল্পগুলি যাতে স্বার্থক রূপায়ন হয়, এলাকার উন্নয়ন হয় ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ সেজন্য বদ্ধ পরিকর।