নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের নাটক নিয়ে এখনও অবধি মুখই খোলেননি তিনি। ভাব খানা এমন যেন বিষয়টি নিয়ে উদাসীন তিনি। কিন্তু তিনিই যে শিবসেনাকে রুখে দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার মরিয়া চেষ্টায় অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন এমনটাই দাবি করলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ভোলেভালা ভাবমূর্তির পর্দা ফাঁস করে সোমবার শরদ পাওয়ার বলেন, একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু তা আমি নাকচ করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে পাওয়ার জানিয়ে দেন বিজেপির সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার শর্ত হিসাবে তাঁর মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের টোপও দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার একটি মারাঠি সংবাদ চ্যানেলে পাওয়ারের এই সাক্ষাৎকার হৈচৈ ফেলে দিয়েছে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। বিরোধী রাজনীতিকরা বলছেন, এটাই হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর প্রকৃত রূপ। ক্ষমতায় লাভের জন্য মোদী সমস্ত নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতে পারেন। কারও কারও মতে এটা মোদীর জন্য নতুন কিছুই নয়, মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য তিনিই গুজরাটের ভয়াবহ দাঙ্গায় নিস্পৃহ ছিলেন । যেমনটা করেছিলেন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য পুলওয়ামার রাজনীতি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাওয়ার দাবি করেছেন , “মোদী আমাকে বলেছিলেন, চলো একসঙ্গে কাজ করি। কিন্তু আমি তাঁকে বলি, না সেটা সম্ভব নয়। তোমার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। তা যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে। কিন্তু তোমার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনা যে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়ার ও মোদীর একটি সাক্ষাৎকার হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর পাওয়ার জানিয়েছিলেন, কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলেন। তার মাত্র কিছুদিন আগে সংসদের অধিবেশনে পাওয়ার ও তার দলের প্রশংসাও করেন মোদী। তাহলে কি তখনই মোদী মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে জন্য এনসিপিকে পাশে পাওয়ার ছক কসছিলেন?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেই বৈঠকের পর কৌতুহল প্রকাশ করেছিল রাজনৈতিক মহল। গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল এনসিপির সমর্থনের পরিবর্তে পাওয়ারকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব নাকি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই সাক্ষাৎকারে এনসিপি প্রধান বলেন, “রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব মোদী দেননি। তবে হ্যাঁ সুপ্রিয়াকে (শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিল করার প্রস্তাব অবশ্যই দিয়েছিলেন।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি চট জলদি কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। হয়ত কিছুটা সময় নিচ্ছেন নেতারা। বিষয়টিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর ইশারার অপেক্ষায় বিজেপি নেতারা। কখন তারা ঝাঁপিয়ে পড়েন সেটাই এখন দেখার।