নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর-এগরা রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে তোলা তুলতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে সাসপেন্ড হলেন এগরা থানার এক আ্যসিসটেন্ট সাব ইন্সপেক্টর সহ ৩ পুলিশ কর্মী। ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া বাকি ২ পুলিশ কর্মী হলেন কনস্টেবল। ১৯ নভেম্বরের জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই ৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁরা হলেন এএসআই সুধাংশু সামন্ত, কনস্টেবল সুদীপ কুমার দুয়ারী এবং মানস মুদি। এঁদের পোশাক জমা দিতে বলা হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করার অভিযোগ রয়েছে। এই তিন পুলিশ কর্মীকে তমলুকের পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাঁদের সমস্ত সরকারি জিনিসপত্র জেলা পুলিশের সদর দফতরে জমা করতে বলা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে তাঁদের জন্য বরাদ্দ পুলিশের পোশাক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ নভেম্বর রাতে।
ওই দিন অভিযুক্ত ওই তিন জন এগরা-খড়্গপুর রাস্তার কৌরদা এলাকায় টহলদারি গাড়ি নিয়ে রাত পাহারায় ছিলেন। সেই সময় তাঁরা পথ চলতি গাড়ি আটকে যথেচ্ছ টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দিন রাতেই সারপ্রাইজ ভিজিটে বের হন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) । টাকা তোলার ঘটনা নজরে আসতে তিনিই টহলরত পুলিশের গাড়িটি তল্লাশি চালান যার মধ্যে থেকে নগদ প্রায় ২৫হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
এরপরই বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনেন। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব বিষয়টি রিপোর্ট আকারের জমা দিতে বলেন। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পুলিশ সুপারে ওই ৩ জনকে সাসপেন্ড করেন।
১৯শে নভেম্বর শ্রী যাদব এগরা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও তমলুক পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (R.I) কে এক নির্দেশিকায় বিষয়টি জানিয়ে দেন এবং জানানো হয় সংশ্লিষ্ট আধিকারিক যেমন এসডিপিও এগরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) প্রমুখদের। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিশেষ করে পোশাক ফেরৎ দিতে বলায়। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যেমন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তেমনি সাধারন মানুষ খুবই খুশি। তাঁরা জানিয়েছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জীবনভর পুলিশকে তোলা তুলতেই দেখা গেছে কিন্তু এই ঘটনায় কোনও দিন কোনও পুলিশের শাস্তি হয়েছে এমনটা তাঁরা শোনেননি। ঘটনায় পুলিশ সুপারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলা। তাঁরা চাইছেন পুলিশ সুপার এরকম আরও উদ্যোগ নিন।