নিজস্ব সংবাদদাতা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বুধবারই সেনা নামানো হয়েছিল অসমে কিন্তু তাতেও বেলাগাম বিজেপি শাসিত রাজ্য। বুধবারই গর্ব করে নাগরিক সংশোধন বিল পাশ হয়েছিল আর পরের দিনই বৃহস্পতিবার এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে গুলি চলল গুয়াহাটিতে। আর সেই গুলিতে বৃহস্পতিবার তিন জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে ২০জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখনও অবধি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গুয়াহাটির লাসিত নগরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে গুয়াহাটির সৈনিক ভবনের ক্যান্টিনের কর্মী ছয়গ্রামের যুবক দীপাজ্বল দাস। গুয়াহাটিরই হাতিগাঁও এলাকার শঙ্করপথে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা টানা পাথর ছু়ড়তে শুরু করলে এক সময় গুলি চালায় পুলিশ। তাতে আরও এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। তৃতীয় গুলিটি চালানো হয়েছে গুয়াহাটিরই বৈশিষ্ট্যের নতুন বাজারে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গুলিতে মৃতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।গুয়াহাটিতে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে কার্ফু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তপ্ত অসমে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। গুয়াহাটির ইউনিফাইড কমান্ডারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওদালগুড়ি, শোণিতপুর , ডিব্রুগড়, ডিমহাস-সহ বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসমের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আর নেই গোটা পরিস্থিতি। তাই আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হোক সেনাবাহিনীকেই।তিনসুকিয়ায় ১২ ঘণ্টার জন্য জারি হয়েছে কার্ফু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত তা জারি থাকবে।গুয়াহাটির গণেশগুড়িতে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের গাড়িতে হামলা হয়েছে। ইট, পাথর দিয়ে ডিজিপির কনভয়ে হামলা করে আন্দোলনকারীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অসমের কামপুরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে শুরু বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুরের দিকে একটি ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়েও চলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। রুক্মিণী গ্রামে একটি সেতুর উপর সেনার কনভয়কে দু’দিক থেকে অবরুদ্ধ করেন একদল প্রতিবাদী। আটকে যায় সেনার কনভয় ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার রাত থেকেই গুয়াহাটির রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন অন্তত দশ হাজার মানুষ। হাত কেটে রক্ত দিয়ে পোস্টার লিখে স্লোগান তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। রাজধানী দিসপুরের সচিবালয়ের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ফেলেন প্রতিবাদীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বঙ্গাইগাঁও ও ডিব্রুগড়ে দু’কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়। জোরহাটেও সেনা মোতায়েন করা হয়। ডিব্রুগড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। সেখানে যে কোনও ধরনের জমায়েত, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্য দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরাতও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। ত্রিপুরায় নেমেছে আধাসেনা। ক্রমশঃ বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতেও। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে শুরু করেছে।