ওয়েব ডেস্ক : আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে দামামা বাজতে শুরু করেছে। এদিকে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ততই বাড়ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের ততই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চওড়া হচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমশ লাগামছাড়া আক্রমণ করছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেই আক্রমণ কখনো কখনো রাজনৈতিক স্তর থেকে ব্যক্তিগত স্তরেও পৌঁছে যাচ্ছে। রবিবার বিকেলেও এমনই ঘটনা ঘটালেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতাদের আক্রমণ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
দিন কয়েক আগেই আগুনে ভস্মিভূত হয়ে গিয়েছে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরের বেশ কিছু বাড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীন পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন ওই এলাকায় গৃহহীন মোট ৩৭টি পরিবারকে সরকারের তরফে ৩৫,০০০ টাকার এক একটি চেক দেওয়া হয়েছে। রবিবার সেই অনুষ্ঠানেই গেরুয়া শিবিরের বেশ কিছু নেতাদের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “বিজেপি নেতারা সব কেচ্ছা কেলেঙ্কারিতে ভর্তি। মুখে আনতেও লজ্জা করে। ওদের দলের প্রত্যেকটা লোকই নোংরা। চিটিংবাজ টাইপের। ২০২১-এর মে মাসের পর ওরা জেলে যাবে।”
শুধু তাই নয়, এদিনের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, “দিলীপের কথায় কান দেবেন না। ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস টু পাস। দিলীপ কিছুই ভালভাবে জানে না।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গের ৭৭ হাজার বুথের মধ্যে ১০ হাজার বুথেও এজেন্ট দিতে পারবে না বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টি আসনের প্রত্যেকটায় জিতবে তৃণমূল।” একই সাথে এদিন প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোলমাল পাকানোর জন্য কাস্টমসের সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র ঢোকাচ্ছে বিজেপি।”