নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৫ই জুন লাদাখের গাল্ভান উপত্যকায় চীনের ড্রাগন বাহিনীর হামলায় দেশের ২০ জন সেনা জওয়ান শহীদ হন। তারপর থেকেই ভারত-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। দেশ জুড়ে গর্জে ওঠেন সকলেই। চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দেন সমগ্র ভারতবাসী। ভারত সরকার সেই সময়ই করে ডিজিট্যাল স্ট্রাইক, নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় টিকটক সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ। তবে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ায় মুখও ভার হয় অনেকের। কারণ টিকটক কেবল বিনোদনই প্রদান করত তা নয়, পাশাপাশি এটি অনেকের আয়ের মাধ্যমও হয়ে উঠেছিল। সেই সময় বাংলার এক তারকা সাংসদ নুররাতও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর দাবী বিকল্প কোনও উপায় বের না করেই কেন বেকারদের কাজের সুযোগে বাঁধা দেওয়া!
যাই হোক টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার কষ্ট এখন হয়তো কিছুটা হলেও দুর হতে চলেছে, কাশ্মীরের দুই ভাইয়ের প্রচেষ্টায়। তারা এমন একটি অ্যাপ বানিয়েছেন, যা টিকটকের শুন্যস্থান পূরন করার জন্য যথেষ্ট। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বুডগাম জেলার দুই ভাই এই অ্যাপ বানিয়েছে, যা চীনা অ্যাপ টিকটকের বিকল্প।
কাশ্মীরি দুই ভাইয়ের নাম টিপু সুলতান ওয়ানি এবং মোহেদ ফারুক। দুইজনের মধ্যে টিপু একজন অ্যাপ ডেভেলোপার এবং ফারুক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা উভয়ে এর আগে নিউক্লিয়ার ওয়ানি নামে একটি অ্যাপ বানিয়েছেন, যা শেয়ার ইট থেকেও কয়েকগুণ দ্রুত ফাইল ট্রান্সফার করতে সক্ষম। আর আমাদের দেশে ‘শেয়ার ইট’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ‘নিউক্লিয়ার ওয়ানি’ ব্যবহার করছেন অনেকেই ।
টিকটকের আদলে নির্মাণ করা এই অ্যাপ প্রসঙ্গে টিপু বলেন, “নিউক্লিয়ার ওয়ানি অ্যাপটি বানানোর পর আমরা দেশের জনগণের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। টিকটিক নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই আমাদের অ্যাপটির আদলে একটি অ্যাপ বানানোর পরামর্শ দেয়। পরে আমরা তা বানানোর সিদ্ধান্ত নেই। মাত্র এক মাসেই একটি অ্যাপ তৈরি করে ফেলি আমরা। আমার বড় ভাই ফারুক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সে না থাকলে হয়তো এই অ্যাপ বের করা সম্ভব হতো না।”
কাশ্মীরি এই দুই ভাইয়ের প্রচেষ্টায় টিকটকের আদলে তৈরি এই অ্যাপ কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করে সেটাই দেখার।