শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ , ছবি-ইন্টারনেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা: নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধি বিক্ষোভে উত্তাল হল যোগী আদিত্যনাথয়ের রাজ্য উত্তর প্রদেশ। শুক্রবার দিনভর অশান্তির জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৬জন বিক্ষোভকারী। আহত হয়েছেন ৩২জন। বৃহস্পতিবারের মৃত্যু ধরলে উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৭ আর দেশে নতুন নাগরিক আইন বিরোধি বিক্ষোভে গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার পুলিশ ৬জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েও দাবি করেছে যে এদিন পুলিশ গুলিই চালায়নি। যদিও পুলিশের বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার কিংবা গুলি করার জন্য পজিশন নেওয়ার একাধিক ছবি ফাঁস করেছে সংবাদ মাধ্যম। প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে পাওয়া গেছে গুলি ছোঁড়ার আওয়াজ। গুলিবিদ্ধ এক নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহম্মদ তামীন জানিয়েছেন, খুব কাছ থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে আক্ষরিক অর্থেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের অন্তত ২০টি জেলা। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানান, বিজনৌরে নিহত হয়েছেন দু’জন, সম্ভল, ফিরোজাবাদ ও মেরঠে এক জন করে। কানপুরেও এক জনের মৃত্যুর কথা জানান অন্য কর্তারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ডিজি-র দাবি, পুলিশ আজ একটিও গুলি চালায়নি, কাজেই এঁরা কেউ পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। আর এক পুলিশ অফিসারের দাবি, ‘‘গুলি চললে তা প্রতিবাদীরাই চালিয়েছে।’’ যদিও ক্যামেরা এই কথা বলছে না। একাধিক ছবিতে রীতিমতো বন্দুকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ভিডিয়োতেও শোনা গিয়েছে গুলির শব্দ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মেরঠের এডিজি-র দাবি, গুলিতে দু’জন পুলিশ আহত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে গত কালের হিংসায় বাঙালিদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন ডিজি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা বহিরাগতদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। অনেকে বাংলায় কথা বলছিল। দেখা হবে, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিল কি না।’’