নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবারই পুর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়াতে সংশোধিত নাগরিক আইন আতঙ্কে দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর মৃত্যুর দাবি উঠেছিল। শুক্রবারই সেই একই আতঙ্কে মৃত্যুর দাবি উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গড়বেতা থানার জামবনি এলাকার। মৃতের নাম শরফুদ্দিন মির্জা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দিন তিনেক ধরে নিজের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও বাড়ির দলিল নিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন শারিফুদ্দিন। শুক্রবার দুপুরে তিনি গড়বেতা তিন নম্বর বিডিও অফিসে যান কাগজপত্র ঠিক করার জন্য। বাড়িতে ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সাথেসাথেই মৃত্যু হয় তার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৃত্যু নিয়ে অবশ্য শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজাও । তৃণমূলের অভিযোগ,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বাংলা জুড়ে। বলা হচ্ছে ৭১ সালের দলিল না থাকলেই বাদ পড়তে পারে এনআরসি থেকে নাম। সেই আতঙ্কের তাড়াতেই দিন তিনেক ধরে দপ্তরে ছুটছিলেন তিনি। আর এতেই মৃত্যু হয়েছে তার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, বয়সের ভারে স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে তার, এর সাথে নাগরিক আইনের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল জঘন্য রাজনীতি করছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। তবে শরফুদ্দিনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উলেখ্য ওই নতুন আইন পাশ হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয় মৃত্যুর দাবি উঠল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য শুক্রবারই আগের মৃত্যু দুটির খবর এসেছে কাটোয় ২ব্লকের কারুই গ্রাম থেকে । যেখানে মৃত্যু হয়েছে কাশেম শেখ(৬৮) ও সাত্তার শেখ (৬৫) নামে দুই বৃদ্ধের। মাত্র ৮০০মিটার ব্যবধানে বসবাসকারী এই দুই ক্ষেতমজুর পরস্পর আন্তরিক বন্ধু ছিল বলে জানা গেছে।