নিজস্ব সংবাদদাতা: ৮বছর বয়সী মহম্মদ সাগির বারানসী শহরের ধারারা স্ট্রিটের সরু গলিতে নিজের বাড়ির সামনে খেলছিল বন্ধুদের সাথে। ঠিক তখুনি পুলিশের তাড়া খাওয়া এক বিশাল জনতা ছুটে পালাতে গিয়ে পিষে দিয়ে চলে যায় তাকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন তাকে।
১৫ বছরের মহম্মদ তনবীর একই ভাবে মারাত্মক আহত হয়ে বারানসী হিন্দু ইউনিভর্সিটি হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার পর আবার নতুন করে লখনউতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৃত শিশু মহম্মদ সাগিরের বাবা মহম্মদ উকিল জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ শান্তিপুর্ন জমায়েতের ওপর বিনা প্ররোচনাতে লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের বেধড়ক মার খেয়েই জনতা পালাতে গেলে পদপিষ্ট হয়ে যায় আমার ছেলে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে অশান্ত যোগী রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ঘিরে গত তিন দিনের হিংসায় ওই রাজ্যে মোট ১৮ জন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যেই গুলিতে মারা গিয়েছে ৮জন। যদিও উত্তর প্রদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, গত ৩৬ ঘন্টায় গুলি চালায়নি পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ এখনও বলছেন, তাঁরা গুলি চালাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব ক’টি মৃত্যুই হয়েছে গুলি-বিনিময়ের মধ্যে পড়ে। ময়না-তদন্তেই তা স্পষ্ট হবে। আমাদের গুলিতে কেউ মারা গেলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নিতাম।’’ তা-হলে গুলি চালাল কে? মনে করা হচ্ছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে যে মৃত্যুগুলি ঘটেছে, সেই গুলি বিক্ষোভকারীরাই ছুড়েছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন ডিজি। আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রবীণ কুমার জানান, সারা রাজ্যে বিক্ষোভের এলাকা থেকে ৪০৫টি কার্তুজের খোল মিলেছে। ২৬৩ জন আহত পুলিশের মধ্যে ৫৭ জনের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ যাই বলুকনা কেন একাধিক ভিডিও ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে বন্দুক ও রিভলবার উঁচিয়ে ছুটছে পুলিশ। পাওয়া যাচ্ছে গুলির শব্দও। গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখা হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাজ্য জুড়ে গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০৫ জনকে। সমাজমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগে ধৃত আরও ১০২ জন। আটক প্রায় ৪৫০০। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের চার জনের প্রতিনিধিদল কাল লখনউ যাচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে বিহার জুড়েও তীব্র হচ্ছে সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধি আন্দোলন। শনিবার আরজেডি ডাকা বন্ধ সমর্থন করেছিল কংগ্রেস এবং আরএলএসপির। বন্ধ সমর্থকেরা কোথাও খালি গায়ে, কোথাও টায়ার পুড়িয়ে এমনকি মোষের পাল ছেড়ে দিয়েও রাস্তা রুখেছেন। মুঙ্গের, মুজফ্ফরপুর, ভাগলপুর, বেগুসরাই— অবরোধ হয় সর্বত্রই। ব্রহ্মপুরাতে দোকান খোলা নিয়ে অশান্তি বাধে। অন্তত সাতটি ট্রেন দেরিতে চলে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দেশব্যাপী এই আন্দোলনের মধ্যেই রবিবার কড়া নিরাপত্তায় এই আইনের সমর্থনে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপি আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।