নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে কলকাতা থেকে ফিরলেন বিনয় তামাং। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপচে পড়ল ভিড়। আর বিমলের আত্মপ্রকাশের পরেও বিনয়ের প্রতিপত্তি যে এতটুকুও ম্লান হয়নি, সেকথারই প্রমাণ পাওয়া গেল আজকের এই ভিড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সঙ্গে বৈঠক করে এদিন ফেরেন বিনয় তামাং। তাকে স্বাগত জানাতে পাহাড় ও শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারে হাজারে মোর্চা কর্মী, সমর্থক বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। খাদা, ফুলের তোড়ায় বিনয় তামাংকে স্বাগত জানানো হয়। তবে অনেকে তাঁর কাছে পৌঁছতেই পারেননি। দিল্লি বা কলকাতা থেকে বৈঠক করে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সুবাস ঘিসিং, বিমল গুরুংরা যেমন জনজোয়ারে, অভিনন্দনে ভাসতেন, শুক্রবার সেভাবেই জন জোয়ারে ভাসলেন বিনয় তামাং।
বিমানবন্দরের বাইরে এসে বিনয় তামাং হাত তুলে ভিক্ট্রি সাইন দেখাতেই মোর্চার কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে হারিয়ে যান তিনি। বিমানবন্দর ছাড়ার মুখে কোনও মতে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে কলকাতায় গিয়েছিলাম তা পূরণ হয়েছে।’ কিন্তু কী সেই উদ্দেশ্য বা মিশন তা বলার সুযোগ পাননি বিনয় তামাং। কেননা বিনয় তামাংয়ের কথা শেষ হতে না হতেই তাঁকে নিয়ে কনভয় পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিনয় তামাং তুমি সামনে এগোও আমরা তোমার সঙ্গে আছি’, স্লোগান গোটা এলাকা ধ্বণিত হতে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে কলকাতায় যাওয়ার দিন বিনয় তামাং এই বিমানবন্দরেই বলেছিলেন, ‘ বিমল গুরুং এখন পাহাড়ে অপ্রাসঙ্গিক, তিনি এখন কোনও সাব্জেক্টই নয়। কাজেই তাঁর সঙ্গে সমঝোতা করে বা এক সঙ্গে চলার কোনও প্রশ্নই নেই।’
তাহলে কি বিমল গুরুংকে পাহাড়ে না ফেরানো বা জায়গা না দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিন সিগন্যাল আদায় করাই কি বিনয় তামাংদের এবারের কলকাতা সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের বৈঠক নিয়ে এরকম আরও অনেক প্রশ্ন উঠছে। আর এই সব উত্তরের উপর পাহাড়ের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভরশীল। কিন্তু এদিন বিনয় তামাং যেভাবে এক লাইনে বক্তব্য রেখে সংবাদ মাধ্যমকে কার্যত এড়িয়ে গেলেন তাতে এধরনে প্রশ্ন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলো।
প্রসঙ্গত, বিমলের আত্মপ্রকাশের পর থেকেই পাহাড়ে বিমল-বিনয় গোষ্ঠী সংঘর্ষে পাহাড় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই পরিস্থিতি ঠান্ডা করতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পান বিনয়-অনীত।