দিঘার পথে এ দৃশ্য আর নয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা: শুরু হয়ে গেছে বড়দিনের ছুটি আর বড়দিনের ছুটি মানেই হাতের কাছে দিঘা। লম্বা ছুটি কাটানোর জন্যই হোক অথবা ইউকেণ্ড ট্যুর, দিঘা সবার জন্যই ফিট। আবার দিঘা মানেই শুধুই দিঘা নয় সঙ্গে পুব দিক বরাবর শংকরপুর , তাজপুর, মন্দারমনি আর পশ্চিম বরাবর উদয়পুর, তালসারি, কীর্তিনিয়া অথবা হাল আমলে গড়ে ওঠা লবনাম্বু উদ্ভিদদের বন বিচিত্রপুর। আর এসবের জন্যই সময় বাঁচাতে অনেকেই চলে আসেন নিজের কিংবা ভাড়া করা চারচাকায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আবার সমস্যাও কম নয়, কলকাতা থেকে নন্দকুমার হয়ে দিঘা যাওয়ার ১১৬বি জাতীয় সড়কে হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিবছরই ডজন ডজন দুর্ঘটনা আর মৃত্যু কেড়ে নিচ্ছে একেকটি পরিবারের সারা জীবনের আনন্দ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের বক্তব্য আনন্দের আতিশয্য, বেপারওয়া গাড়ি চালানো, ঘন কুয়াশা, চালকের ঘুমে চোখ লেগে যাওয়া ইত্যাদি নানা কারনে দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে এবং আনন্দের বদলে অভিশাপ নেমে আসছে পরিবারগুলিতে। তাই এই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের দুর্ঘটনা মুক্ত সফর উপহার দিতে রাতদিন ২৪ঘন্টা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন থাকছেন ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ কয়েকটি দল যাঁরা সড়ক পথে দিঘাগামী গাড়ির চালকদের জোরে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে বোঝানো শুরু করেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাশাপাশি রাতে গাড়ি চালানোর সময় চালকেরা যাতে ঘুমিয়ে না পড়েন তার জন্য সড়ক পথে বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশের তরফে গাড়ি থামিয়ে চোখ-মুখ ধোয়ার জল ও চা পান করানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
এখানে বিজ্ঞাপন দিতে নিচে সাইটের নম্বর দেখুন |
পুর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কলকাতা থেকে দিঘার মধ্যে পড়ছে তিনটি জাতীয় সড়ক। হাওড়া-মুম্বাই , কোলাঘাট-হলদিয়া এবং নন্দকুমার-দিঘা। এই তিনটি সড়কের মোট ৯টি জায়গা রূপনারায়ণ সেতু থেকে তমলুক, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, খেজুরি, মারিশদা, কাঁথি ও রামনগর হয়ে দিঘা ট্রাফিক পুলিশ ‘স্টপ সেন্টার’ চালু করেছে। সোমবার বিকেল থেকেই যা চালু হয়ে গেছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ‘স্টপ সেন্টারে’ গাড়ি থামিয়ে চালকদের গতি সম্পর্কে সতর্কীকরনের পাশাপশি তাদের শারীরিক অবস্থা জেনে নেওয়া, মদ্যপান করেছে কিনা খোঁজ নেওয়া এবং সন্ধ্যার থেকে রাতে যাতায়াত করা বিভিন্ন গাড়ি স্টপ সেন্টারে থামিয়ে চালকদের চোখ-মুখ ধোয়ার জল দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে গরম চা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘুম পাচ্ছে এমন চালকদের ঘুম কাটার পর ফ্রেশ হয়ে রওনা করানো হচ্ছে। সামনে ভারি কুয়াশা থাকলে দৃশ্যমানতা যাতায়তের উপযুক্ত হলেই ছাড়পত্র মিলবে গাড়ি চালানোর বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। প্রায় ১০০জন পুলিশ ও সিভিক কর্মী সমন্নিত এই ব্যবস্থা কার্যকরী থাকছে আগামী ২ জানুয়ারি অবধি।