নিজস্ব সংবাদদাতা: কাটমানি নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকার তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকেরা সর্বত্রই কাটমানি নিচ্ছেন। আর সেই কাটমানি নিয়ে সরকারি প্রকল্প রূপায়িত করতে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ। সেই তৃনমূলকে তোলা দিতে গিয়ে মানুষ ঠিক মত প্রকল্প রূপায়ন করতে পাচ্ছেননা। যেমন পায়খানা ঘর বানানোর জন্য টাকা বরাদ্দ ১০ হাজার আর দিদির ভাইরা মেরে নিচ্ছেন ৩হাজার। এরপর সেই ঘর হল কেমন?
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেওয়াল হলতো প্লাস্টার নেই আর প্লাস্টার হল তো ছাদ নেই। তারপর যদিও ঘর হল তো দরজা ছোট। সেই দরজা দিয়ে যদি কোনও মোটা লোকের ঢোকার দরকার হয়? পারবে? ‘ জনতা সমস্বরে বলে ওঠে, না।
এরপরই ঘোষ বলেন, আমাদের একজন শিক্ষামন্ত্রী আছেন, পার্থ চ্যাটার্জী। ইয়া মোটা। ঠেলেঠুলে ঢুকিয়ে দিলেন। আর বেরুতে পারবে? দেওয়াল ভেঙে বের করতে হবে।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় জনসভা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেশপুরের খেতুয়াবাজার, ক্ষীরপাইয়ের হালদারদিঘী, ঘাটাল–সহ প্রতিটি জায়গায় সভা থেকে শাসকতল তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। শাসকদলকে ‘পকেটমারের দল’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শাসকদলের অনুগামীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গুন্ডা, বদমাইশ, পকেটমার, সমাজবিরোধীদের দল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কোনও ভদ্রলোক আর তৃণমূল করেন না। মে মাসে দিদির বিসর্জন হবে। নবান্ন থেকে গঙ্গায় যাবেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পুরোপুরি দুর্নীতিতে সমৃদ্ধ একটি দল। এখন তৃণমূল নেতাদের দেখুন— যারা কয়েকদিন আগে ভাঙা সাইকেল চালাত, তারা এখন মোটরবাইক চালাচ্ছে, গাড়ি চড়ছে। এদিন ঘোষ জানিয়ে দেন, এবার নির্বাচন হবে মোদির পুলিশ দিয়ে। রাজ্যের পুলিশকে ১০০মিটার দুরে বসিয়ে রাখা হবে। দিদির ভাইরা ভোট লুট করতে হলে ডান্ডা খাবেন আর পিঠে দাগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। এদিন কেশপুরের মত জায়গাতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ।