Homeএখন খবরখড়গপুর কলেজ হোস্টেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার ছাত্র, আভিযোগ জাতীয় র‍্যাগিং বিরোধী সেলে

খড়গপুর কলেজ হোস্টেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার ছাত্র, আভিযোগ জাতীয় র‍্যাগিং বিরোধী সেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা : দিনের পর দিন  র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে জাতীয় র‍্যাগিং বিরোধী সেলে আভিযোগ জানিয়েছে এক ছাত্র। শুধু তাই নয় ওই ছাত্রের অভিযোগ,  ঘটনার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানার পরই তার নাম প্রকাশ্যে চলে আশায় আতঙ্কে রয়েছে সে। নির্যাতিত ছাত্র জানিয়েছে , ” যারা আমাকে র‍্যাগিং করল, তাদের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ তেমন কোনও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা তো নেয়নি উল্টে আমার নাম  প্রকাশ্যে চলে আসায় আতঙ্কে রয়েছি আমি। ঘটনার পর থেকে অনেক অধ্যাপক অধ্যাপিকা এমন কি কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করছে যে আমি কেন অভিযোগ জানালাম ? রীতিমত আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে আমাকে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কলেজের প্রথম সেমিস্টারের ওই ছাত্র বলেন, ”হোস্টেলে আসার পর সিনিয়ার কয়েকজন ছাত্র তাকে নানা ভাবে র‍্যাগিং করেছে। দরজা বন্ধ করে রুমে সবাই মিলে সিগারেট খেয়ে সেই ধোঁয়া ভর্তি ঘরে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে বাধ্য করা, বান্ধবীকে গিয়ে অশালীন ভাষা  বলতে বাধ্যকরা। পর্ণ ছবি দেখতে বাধ্য করা, কন্ডম পরে তার ছবি তুলে বান্ধবীদের পোষ্ট করতে বাধ্য করা ইত্যাদি নানা মানসিক নির্যাতন  যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ কুমার সামন্ত বলেন, ‘’আমাদের কলেজে এক ছাত্র আমাদের কাছে কোন কিছু না জানিয়ে অ্যান্টি র‍্যাগিং সেল এবং ইউজিসি সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিল। তার অভিযোগ ছিল, কলেজ হোস্টেলে এবং কলেজের ল্যাবে কয়েকজন সিনিয়ার ছাত্র নানা রকম খারাপ ব্যবহার করেছে। তাকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করা হয়েছে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কলেজের অধ্যক্ষ আরও বলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং সেল থেকে বিষয়টি আমাদের জানানোর পরই আমরা ছাত্রটিকে নিয়ে বসি এবং অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়। নিয়ম অনুযায়ী যা কিছু করার তা করা হয়েছে। ওই ছাত্রকে কলেজের তরফে এও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, ‘দ্বিতীয়বার তাঁকে কোনদিন এধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হবেনা। এর পরেও তার কেন আতঙ্ক তা বুঝতে পারছিনা’।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নির্যাতিত ছাত্রের দাবি , আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখানো হয়েছে। ভয়ে হস্টেল ছাড়তে বাধ্য হই। ছাত্রটি বলেন, কলেজে অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলে কারা আছেন, তাদের জানানো কতটা নিরাপদ কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ন্যাশনাল অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলে অভিযোগ জানাই গত জুলাই মাসে।

তারপর কলেজের অধ্যক্ষ আমাকে ডেকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করে। অভিযুক্ত দুজনকে দুমাসের জন্য হস্টেল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বটে কিন্ত ওই সময় কলেজে পুজোর ছুটি চলছিল। আর কোন কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরই বিষয়টি  ইউজিসিকে জানানো হয় বলে ওই ছাত্র বলেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
র‍্যাগিং বিরোধী সংগঠন, সোসাইটি এগেনস্ট ভায়োলেন্স ইন এডুকেশন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যতম সদস্য ডক্টর কুশল বন্দ্যোপধায় বলেন, ‘খড়্গপুর কলেজের বিষটি নিয়ে আমরা ন্যাশনাল অ্যান্টি র‍্যাগিং হেল্প লাইনের সাথে যোগাযোগ করেছি। কেসটি রি-ওপেন করতে বলা হয়েছে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খোঁজ খবর নিচ্ছি। ছাত্রটি বার বার জানাচ্ছে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি ইউজিসি’র নিয়মও মানা হয়নি কলেজে। আমরা এই বিষয়ে কলেজে যোগযোগ করে জানতে চাইব কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” 

RELATED ARTICLES

Most Popular