নিজস্ব সংবাদদাতা: শুধুই কথার কথা একেবারে হাতে কলমেই কাজ করল কেরলের বাম সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসাবে বিধানসভায় পাশ করিয়ে নিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা ক্যা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবটি পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর আনা প্রস্তাবে একযোগে সমর্থন করে বিরোধীরাও। একমাত্র বিজেপি বিধায়ক রাজাগোপাল ছাড়া বাকি সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার কেরল বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। মূলত তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের মেয়াদ আরও এক দশক বাড়ানোর জন্য এদিন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। সিএএ বিরোধিতার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে এই একদিনের অধিবেশনেই পাশ পেশ করা হয় প্রস্তাব। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী এই প্রস্তাবটি পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রস্তাব পেশের সময় তিনি বলেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। এইভাবে ধর্মের ভিত্তিতে আইন তৈরি করলে তা গোটা দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড়সড় ধাক্কা হবে। আইনটি সংবিধানের মূল ধারণাকেই খণ্ডন করছে। সাধারণ মানুষের মনোভাব বুঝে কেন্দ্রের উচিত এখনই এই আইন প্রত্যাহার করা।” পিনারাইয়ের বক্তব্যের পরই ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে যায় এই প্রস্তাবটি। এর আগেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসিতে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি রাজ্যে এনপিআরের কারও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দেশজুড়ে বিরোধীরা মোদি সরকারের আনা নতুন আইনের বিরোধিতা করে চলেছে বটে কিন্তু কেরলে এই বিক্ষোভের মাত্রা একটু বেশিই। কারণ, একমাত্রে কেরলেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবির একযোগে নতুন আইনটির বিরোধিতা করছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন সিএএ-র বিরুদ্ধে একটি ধরনার আয়োজন করেন। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী ইউডিএফের নেতারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য এর আগে এরকমই নজির বিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শবরীমালার মন্দিরের ১০বছরের উর্ধে মহিলাদের প্রবেশ করিয়ে ছেড়েছিল এই বিজয়ন সরকার। বিজেপি তো বটেই এমনকি কংগ্রেসও বিরোধিতায় নেমেছিল সেদিন। ক্যা বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়ে আবার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিজয়ন, এমনটাই ধারনা বিশিষ্ট মহলের।