নিজস্ব সংবাদদাতা: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ বিস্ফোরনের আওয়াজে কেঁপে উঠল বাংলা। উত্তর ২৪পরগনার নৈহাটি থানা এলাকার দেবকে একটি অবৈধ বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরনে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৮ জন। এরমধ্যে ১জনের অবস্থা আশংকা জনক। বিস্ফোরনের অভিঘাতে উড়ে গেছে পাকা বাড়িটির একাংশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুর থেকেও বিস্ফোরনের শব্দ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিস্ফোরনের প্রাবল্যে নৈহাটির গঙ্গার অপর পাড় হুগলির দিকেও ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, দুপুর তখন সাড়ে ১২টা হবে। পরপর তিনটে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম, তার পরেই সিরিয়ালি চলল পরপর শব্দ। শুনে মনে হচ্ছিল যেন মেশিনগান চলছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলছিল বিস্ফোরণ। বাড়ি কেঁপে ওঠে, রাস্তায় বেরিয়ে আসি আমরা। পাড়ার সবাই আমাদের মতোই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে। এত জোরে ব্লাস্ট, আমরা বলাবলি করছিলাম প্লেন ভেঙে পড়ল নাকি। তার পরে আলোচনা হচ্ছিল, ভাটপাড়ার জন্য নৈহাটিতে প্রায়ই গোলমাল লেগে থাকে। সেরকমই গোলাগুলি চলছে বুঝি। বাজি কারখানার বিস্ফোরণ বলে বুঝিইনি আমরা। কত বারুদ থাকে যে এমন শব্দ হবে!
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাজি কারখানায় বহু মহিলা ও শিশু শ্রমিক কাজ করত। যেভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। শুধু শ্রমিকরা নন, গোটা এলাকাটাই ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি যে ভয়াবহ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মজার ব্যাপার হল এটাই প্রথম নয়, বছর খানেক আগেই বিস্ফোরনে কেঁপে উঠেছিল এই কারখানা আর সেবার প্রান গিয়েছিল পাঁচ জনের। তার পরেও ওই বাজি কারখানা চলছিল কোনও অনুমতি ছাড়াই। আর অবৈধ বাজি কারখানা মানেই যে শুধু বাজি তৈরি হত এমনটা নাও হতে পারে। বোমা তৈরির মশলাও থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে,সেরকম কিছু হত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনার পরে মালিক নুর হুসেন পলাতক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাস্থলের রয়েছে নৈহাটি থানার পুলিশ ও দমকল। পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে, ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর চাপা দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এলাকার শাসক দল আশ্রিত নেতারাও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তেতে রয়েছে নৈহাটি। অর্জুন সিংহের দলবদলের পর থেকেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত নৈহাটি, কাচড়াপাড়া, টিটাগড় প্রভৃতি এলাকা কেঁপে উঠেছে বিজেপি আর তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বোমায়। কিছুদিন আগে অবধি মুড়ি মুড়কির মত বোমা পড়েছে এই সব এলাকায়। সেই সব বোম এরকমই বাজি কারখানার আড়ালে তৈরি হত কি?প্রশ্ন তুলেছেন সাধারন মানুষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একদা তৃনমূল নেতা ও বিধায়ক বর্তমানে বিজেপি নেতা ও সাংসদ অর্জুন সিংহ অভিযোগ করেন , এলাকায় ১০০ বেশি বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে আজ। তাঁর দাবি, এখানে শক্তিশালী বোমা বানানো হচ্ছিল। কোন কারণে তা ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন অর্জুন।