নিজস্ব সংবাদদাতা: পুর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে যোগ দিচ্ছেন ইন্দিরা মুখার্জী। ২০১২ র আইপিএস ক্যাডার ইন্দিরা বর্তমানে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অকুতোভয় এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কারনে ইতিমধ্যেই খ্যাতি জুটেছে তাঁর। আর যে কারনেই অতি দ্রুত পদোন্নতিও পেয়েছেন তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইন্দিরার আইপিএস ক্যাডার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এতটাই তীব্র ছিল যে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় যে ফল করেছিলেন তাতে নিশ্চিন্ত জীবন হিসাবে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস বেছে নিতে পারতেন। নিরাপদ ও অত্যন্ত উঁচু ও সম্মানজনক সেই পদ ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলনা। কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছিলেন আইপিএস ক্যাডার কারন সরাসরি মানু্ষের সংস্পর্শে থেকে কাজ করতেই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইন্দিরা ২৬বছরে আইপিএস ক্যাডার হলেও আগের দু’ বছর তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আইটি সেক্টরে অত্যন্ত সম্মানজনক পদ সামলেছেন। তাঁর পরিশ্রম করার ক্ষমতায় অবাক হয়ে গেছিলেন ইউপিএসসির পরীক্ষকরা কারন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পর মূল পরীক্ষা দেওয়ার সময় তিনি ভয়ানক ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হন। কেউ ভাবতেই পারেনি যে তিনি মূল বা মেইন পরীক্ষা দিতে পারবেন। তিনি শুধু পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাই নয়, ৪০০জনের মধ্যে ২২৬ তম জায়গা দখল করে নেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে ইন্দিরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে সংবাদের শিরোনামে চলে আসেন একটি ঘটনায়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরবঙ্গে তখনও শীতের প্রকোপ ছিল। উত্তর দিনাজপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জী নিজের কর্মক্ষেত্র থেকে সাইকেলে করে নিজের কর্ণজোড়ার বাংলোতে ফিরছিলেন। তখুনি জেলা শাসকের বাংলো থেকে ২০০মিটার দুরে রাস্তার ওপর এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এত রাতে ওই মহিলা ওখানে কেন বসে আছেন জানতে গিয়ে দেখতে পান মহিলার শ্বাসনালি কেটে দিয়েছে কেউ। তখুনি ফোন করে পুলিশের গাড়ি আনিয়ে মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন ইন্দিরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন সময়মত ওই মহিলাকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছিল বলেই অপারেশন করে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল সেই মহিলাকে। পরে জানা যায় বন্দনা দাস নামে ওই মহিলার গলা কেটে তাঁকে মারার চেষ্টা করেছিল তাঁর স্বামী। সেই ঘটনার পর রায়গঞ্জ শহর আজও ইন্দিরা মুখার্জীকে দেবীর মত শ্রদ্ধা করে।