নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত সকালেই পথ দুর্ঘটনায় এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জলপাইগুড়ির মোহিতনগর সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। চলল একের পর বাস ও ট্রাকে অগ্নি সংযোগ। উত্তেজিত স্থানীয় জনতা পরপর তিনটি সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় কয়েকটি ট্রাকও । এই ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যানচলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়।পরিস্থিতি নিয়ন্রণ করতে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় ছুটে গিয়েছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে নিহত ছাত্রীর নাম ইশা চক্রবর্তী। বাড়ি রানিনগরে। এদিন সকালে ইশা স্কুটি চালিয়ে তার দাদার সঙ্গে বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি শহরের দিকে যাচ্ছিল। ময়নাগুড়ির দিক থেকে আসা একটি সরকারি বাস তাদের স্কুটিকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইশার। জখম হয় ইশার দাদা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খবর ছড়িয়ে পড়তেই জলপাইগুড়ি রানিনগর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা একের পর এক বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর ঘটনাস্থলে আসে কোতয়ালি থানার পুলিশ। কোনও রকমে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয় ।
এদিকে ওই স্কুলছাত্রীর ভাইও বাসের ধাক্কায় জখম হয়েছে। স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় এক হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তার। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। তিনটি সরকারি বাসে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ফোর লেন তৈরির কাজ হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার জেরে যানচলাচলে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনও পথদুর্ঘটনা কাড়ছে প্রাণ তো আবার কখনও জখম হচ্ছেন অনেকেই। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেয় পুলিশ। দমকল কর্মীদের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাতে আর নতুন করে কোনও অশান্তি না হয় তাই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা।