নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরা দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঘটনার নিন্দা করেছেন৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। গণতন্ত্রের লজ্জা। জেএনইউ-এর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কর ছবি। যে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি তর্ক আর মত বিনিময়ের স্থান হিসেবে চিনি সেখানে এমন ঘটনা ভাবা যায় না।’ জয়শঙ্কর টুইট করেন, ‘জেএনইউ-এর ঘটনার ছবি দেখেছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরোধী।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘জেএনইউ-র পড়ুয়া ও শিক্ষকদের উপর মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন। ফ্যাসিস্টদের নিয়ন্ত্রণে চলছে দেশ। সাহসী পড়ুয়ারা সরব হওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছে তারা। আজ জেএনএউ-এ হিংসা সেই ভয়েরই প্রতিফলন।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াও ছাত্রসমাজ থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই সরব হয়েছেন৷ জেএনইউয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বম্বে আইআইটি, আলিগড় মুসলিম বিশ্বদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্বিদ্যালয়ের মতো দেশের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার রাতেই ক্যাম্পাসগুলিতে প্রতিবাদ ফেটে পড়েছে। জেএনইউর পাশাপাশি মিছিল হয়েছে যাদবপুর, আলিগড়, হায়দ্রাবাদের ক্যাম্পাসেও। সোমবার ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।