ওয়েব ডেস্ক : পুজোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। এবার সেই সম্ভাবনা স্পষ্ট করলো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ রেখার তৈরি হয়েছে। এর জেরে ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল, রায়লসীমা, তেলাঙ্গনা, ওড়িশায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে শুধুমাত্র এই রাজ্যগুলিই নয়, এর পাশাপাশি আগামী ২২শে অক্টোবর থেকে ২৪ শে অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী এ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ রেখাটি ক্রমশ ঘনীভূত হতে পারে। তবে একই সাথে আগামী তিন দিনে নিম্নচাপ রেখাটি উত্তর-পশ্চিমে সরতে সরতে সেটি ক্রমশ উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাবে। এর জেরে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২২ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর। তবে এই অঞ্চলগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হলেও ফৈজাবাদ, ফতেহপুর, নওগাঁ, রাজগড়, রতলম, বল্লভ, বিদ্যানগর ও পোরবন্দর হয়ে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে ভারত থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে মৌসুমি বায়ু। তবে শুধুমাত্র এই অঞ্চলগুলিই নয়, একই সাথে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও গুজরাতের বাকি অংশতেও ইতিমধ্যেই বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সাথে উত্তর ও মধ্য আরব সাগর এবং মহারাষ্ট্রের উত্তরাংশ থেকেও আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বর্ষা বিদায় নেবে বলেই আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছে।
দিকে নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফে, আগামী ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ শে অক্টোবর পর্যন্ত মৎসজীবীদের বঙ্গোপসাগরের মধ্য ভাগে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ এবং ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলেও এই সময় মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। এবিষয়ে জাতীয় আবহাওয়া দফতরের প্রধান কে সতী দেবী জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব বাতাস বইতে শুরু করবে। ফলে ইতিমধ্যেই এদেশে বর্ষা বিদায় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও যেহেতু এখনও পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ রেখা বহাল রয়েছে, সেকারণে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে এখনই সম্পূর্ণ বর্ষা বিদায় ঘটবে না। তবে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় না নিলেও উত্তর-পশ্চিম ভারতে রাতের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এভাবেই ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা।