নিজস্ব সংবাদদাতা: আইআইটি কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি এমন কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভে ছাত্রছাত্রীর সামিল হোক। তাই নানা ভাবে আটকানোর চেষ্টা করতে। অবশেষে সেই বাধা অতিক্রম করেই বিক্ষোভে নামল আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রছাত্রী ও গবেষক পড়ুয়ারা। কয়েকদিন আগেই ‘মোদী কোট’কে দেশে দাঙ্গার প্রতীক বলেছিলেন আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়ারা বুধবার সেই পড়ুয়াদেরই ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেল জেএনইউতে মুখোশ পরা গুন্ডাদের হিংস্র আক্রমনের বিরুদ্ধে ধিক্কারে ফেটে পড়তে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইতিমধ্যেই জেএনইউতে হামলার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই গর্জে উঠেছে আইআইটির কানপুর, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুর পড়ুয়ারা এবার সেই পথে দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়ারাও । বুধবার বিকালে নিজের ক্লাশের নির্ধারিত সময়ের পরেই আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসের বাইরে প্রধান ফটকের কাছে জমা হন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। প্রথম দিকে সংখ্যায় কিছুটা কম থাকলেও ক্রমশ ভিড় জমতে থাকে বিক্ষোভকারিদের। কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসেন শ’খানেক ছাত্রছাত্রী। হাতে প্ল্যাকার্ড আর মুখে শ্লোগান নিয়ে ধিক্কারে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্র তথা ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানাহাইয়া কুমারের ঢংয়েই চলতে থাকে ভূখমারি থেকে তানাশাহী আর ক্যাম্পাসে গুন্ডাগর্দি থেকে বুর্জোয়া শাসনের নাগপাশ থেকে ‘আজাদি’ চাওয়ার শ্লোগান। হাতে তালি দিয়ে রাষ্ট্রের অপশাসনেরর বিরুদ্ধে আজাদির আওয়াজ ওঠে এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আইআইটির এক গবেষক পড়ুয়া অমিতাভ ঘোষ জানালেন, ‘একের পর আলীগড় মুসলিম ইউনিভর্সিটি, জামিয়া মিলিয়া, জেএনইউর মত প্রতিষ্ঠান গুলিতে বর্বর পাশবিক আক্রমন নেমে আসছে। উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর পরিকল্পিত হামলা হচ্ছে। আগামীকাল হয়ত আমরাও সেই আক্রমনের শিকার হব। আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে এই গুন্ডাগর্দি থেকেই আজাদি চাইছি। আমরা সামজিক ভেদাভেদ থেকে আজাদি চাইছি। আমরা জানি আগামীকাল সরকারের কেউ কেউ আমাদের ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলবে। আমরা তাতে পারওয়া করিন।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আরেক গবেষক পড়ুয়া সায়ন দাশগুপ্ত জানান, ‘আমাদের একটু দেরি হয়ে গেল কারন আমরা চেষ্টা করেছিলাম কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই এই প্রতিবাদ করতে কিন্তু অনেক টালবাহানা করে তাঁরা এই প্রতিবাদটাই আটকে দিতে চেয়েছিলেন। বাধ্য হয়েই আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরে এসে করতে হল। তাও তো দেখছেন কত নিরপত্তারক্ষী রাখা হয়েছে। এরাও চেষ্টা করছেন প্রতিবাদ আটকানোর জন্য।’