নিজস্ব সংবাদদাতা:ক’দিন ধরেই ক্ষোভ জমা হচ্ছিল জনতার মনে বৃহস্পতিবার তাই যেন জ্বলে উঠল হুহু করে। উত্তর ২৪পরগনার নৈহাটি থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়ার জেরে ধুন্দুমার কান্ড বেধে গেল। জনতার রোষে পুড়ে গেল ২টি পুলিশের ভ্যান। ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ব্যাপক প্রহৃত হলেন দুই পুলিশ কর্মী। জনতার ক্ষোভে প্রলেপ দেওয়ার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘোষনা করতে হয় যে বিস্ফোরনের কারনে যে সব বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে তা পূরন করে দেবে সরকার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কয়েকদিন আগেই নৈহাটির একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরনে মৃত্যু হয় চারজনের। তখনই পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় এলাকায় সমস্ত বাজি কারখানায় অভিযান চালানো হবে। সেই অভিযানে উদ্ধার হওয়া বাজি নিস্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। প্রতিদিনই কিছু বাজি গঙ্গার পাড়ে পোড়ানোর কাজ চলছিল। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরনের আওয়াজের পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যাচ্ছিল। মারাত্মক দুষন ছড়াচ্ছিল
বৃহস্পতিবার দুপুরে নৈহাটির রামঘাটে সেই কাজ চলার সময় মুহুর্মুহু বিস্ফোরনে কাঁপতে থাকে এলাকা।
বিস্ফোরণের জেরে একাধিক বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে পড়ে। উড়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ির অ্যাজবেস্টসের ছাদ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নৈহাটির সাইরাজ এলাকা। বিকট আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ হেফাজতে থাকা বিস্ফোরক নিস্ক্রিয় করতে গিয়ে এমন ঘটনায় পুলিশের উপর গিয়ে পড়ে জনরোষ। পালিয়ে যায় পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বিস্ফোরণের ফলেই আগুন ধরে যায় পুলিশের একাধিক গাড়িতে, ভেঙে যায় চারটি গাড়ির কাচ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবস্থা সামাল দিতে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যান উচ্চপদস্থ কর্তারাও। জনতার ক্ষোভ তুমুল আকার নেওয়ায় অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খান তাঁরা। আগুন নেভাতে খবর দেওয়া হয় দমকলেও । জনতার তীব্র রোষ থেকে পালাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মী ধরা পড়ে যান। তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কেঁপে উঠল গঙ্গার ওপারে চুঁচুড়াও। সেখানেও একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকী ভেঙে পড়েছে পুরসভা ভবনের কাচও। বিকট আওয়াজে সবকিছু ভেঙে পড়তে দেখে আতঙ্কে পথে নেমে পড়েন বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পুলিশ আরও জানিয়েছে ভবিষ্যতে এই কাজ করতে গিয়ে আরও সাবধান হবে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে যে পদ্ধতিতে এই নিস্ক্রিয়করনের কাজ চলছিল তা পুরোপুরি ভ্রান্ত। সমস্ত বাজি এক জায়গায় জড়ো করে পোড়ানো হচ্ছিল। এক্ষেত্রে উদ্ধার হওয়া বাজি বোমের চরিত্র নির্ধারন করে শক্তিশালী বাজি গুলি পৃথক করার দরকার ছিল। তাছাড়া লোকালয়ের মধ্যে এভাবে বাজি নিস্ক্রিয় করার উদ্যোগটাই মারাত্মক ভুল ছিল।