ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। পুজোর আগে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। জমায়েত হলে পুজোর পর রাজ্যে করোনার বন্যা বইতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনা সচেতনতায় একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মেনে চলতে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু কোথায় কী! পুজোর আগেই, উৎসবে মেতে উঠেছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। জমায়েত না হওয়া কিংবা দূরত্ববিধি বজায় রাখাকে একেবারে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবিবার শহরের বুকে মোহনবাগানের সমর্থকেরা মেতে উঠেছে। করোনা দাপট ভুলে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে হই-হুল্লোড় দেখা গেল সমর্থকদের মধ্যে।
রবিবার ছুটির দিনের এই ঘটনা দেখে একেবারে চোখ কপালে উঠেছে শহরের একাংশের। এই করোনাকালে এতবড় শোভাযাত্রায় যেভাবে মোহনবাগান সমর্থকরা বিশাল জমায়েত করেছেন তাতে পুজোর আগেই এওরাজ্যে বড়ো সংখ্যায় মানুষ করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, মোহনবাগান সমর্থকদের কথায়, সাত মাস পর বাগানের ঘরে কাপ মেলার আনন্দে এদিন করোনাভিতিকে দূরে রেখেছেন তারা৷ তাদের মতে, রবিবার সবুজ মেরুন রঙে ঢেকেছে শহর কলকাতার আকাশ। সেই কারণেই এই প্রবল ভয়ের মূহুর্তেও মোহনবাগান সমর্থকদের আবদারকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এদিকে দীর্ঘ সাত মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে রবিবার সকালে লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেওয়া হল মোহনবাগানের হাতে। শহরের এই পাঁচতারা হোটেলে অবশ্য সবরকম করোনা বিধি মেনেই ট্রফি তুলে দেওয়ার কাজ সেড়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসু, সচিব সৃঞ্জয় বসু, অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত, আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি, ফেডারেশন এর তরফে ছিলেন লিগ সিইও সুনন্দ ধর। কিন্তু পাঁচ তারা হোটেলের ভিতরে স্বস্তির ছবি দেখা মিললেও ট্রফি হাতে পাওয়ার পর এক্কেবারে বদলে গেল শহরের ছবি। করোনার বিধিনিষেধকে শিকেয় তুলে বিশাল মিছিল নিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন করেন মোহনবাগান সমর্থকরা।