নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৭৬জন সহ ভেঙে পড়া ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনার দায় শেষ অবধি স্বীকার করে নিল ইরান। প্রথম থেকে দায়িত্ব অস্বীকার করেও শেষ অবধি ইরানের বিদেশ মন্ত্রী জানালেন, ‘হিউম্যান এরর’ বা মানু্ষের ভুলের জন্যই এই দুর্ঘটনা তবে এরজন্য দায়ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। তারা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতেই এই ভুল হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অর্থাৎ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই যে ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমানটি তা শেষ অবধি প্রমানিত হল। শনিবার এক বিবৃতিতে জানাল ইরান। দুর্ঘটনার পর থেকেই এই তত্ত্বটিই জোরালো হচ্ছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই বিষয়টি অস্বীকার করছিল ইরান। অবশেষে তারাও মেনে নিল ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে পাশাপাশি ইরান এটাও জানিয়েছে, বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভাবেই ঘটেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে ইরান সেনার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। কী ভাবে এমনটা হল সেনাবাহিনীতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে ইরান।বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে জানান, একটা শোকের দিন। আমেরিকার সঙ্গে এমন একটা উত্তেজনার আবহে ভুলবশত এই ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। মৃতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গত ৮ জানুয়ারি ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে তেহরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। গন্তব্যস্থল ছিল ইউক্রেনের কিয়েভের বোরিস্পিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পারান্দে ও শাহরিয়ার শহরের মাঝামাঝি জায়গায় ভেঙে পড়ে সেটি। বিমানে বিমানে ৮২ জন ইরানি, ১১ ইউক্রেনীয়, ১০ সুইস, ৪ আফগান, ৬৩ কানাডীয়, ৩ ব্রিটিশ এবং ৩ জন জার্মান নাগরিক ছিলেন। সব যাত্রীরই মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে মার্কিন সেনারা ড্রোন হামলায় ইরানের গোয়েন্দা প্রধান কাশেম সোলেইমানিকে বাগদাদের মাটিতে হত্যা করার পরই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ইরানে। মার্কিন ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি ও আক্রমন ও প্রতি আক্রমনের পরিস্থিতিতেই যাত্রীবাহী বিমানটিতে ভুল করে ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এরকম সম্ভাবনা হতেই পারে মনে করে আগেই ভারত ইরানের আকাশ সীমা ব্যবহার না করার জন্য দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছিল।