ভবানী গিরি: পুজো দেখুন, উৎসবে অংশ নিন কিন্তু বাড়ি ফিরুন সুস্থতা নিয়েই। মুহুর্তের অসতর্কতা যেন ভবিষ্যতের বিপদ নিয়ে না আসে তাই সচেতন ভাবেই উৎসবে অংশ নিতে হবে। আনন্দ যেন বিষাদের কারন না হয়ে দাঁড়ায়। অতিমারি করোনা আবহে কী ভাবে আনন্দের উৎসব উদযাপন করা যায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারই অভিনব পাঠ দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।
আর মাত্র কয়েকটি দিন বাদে হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজা।আর দূর্গা পূজা মানেই ভিড় করে অষ্টমীর অঞ্জলী দেওয়া থেকে শুরু করে রাত জেগে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়ানো এবং অচেনা অজানা দোকানে পেট পুরে খাওয়া ,এটাই বাঙালির প্রতি বছরের রীতি। কিন্তু এবছর করোনা আবহের মধ্যে দূর্গা পূজা করাটাই যেমন পূজা কমিটিগুলোর চ্যালেঞ্জ তেমন অবস্থা পুলিশ প্রশাসনের।তাই পূজার আগে গ্রামের মানুষকে ফের একবার করোনা স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করতে মাঠে নেমে পড়ল গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ প্রশাসন।
আজ, শুক্রবার গোপীবল্লভপুর থানার আইসি সুদীপ ব্যানার্জির নির্দেশ মতো থানা এলাকার কয়েকটি গ্রামে পদস্থ পুলিশ কর্মীরা সাধারণ মানুষকে করোনা সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এবং আবেদন করেন করোনা সংক্রমণের কারণে এবছর পূজার সময় বাড়িতে থাকাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।নেহাত যদি কেউ পূজা দেখতে কেউ যান তাহলে স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী যেন মাস্ক ব্যবহার করেন এবং ভিড় এড়িয়ে যেন চলেন তার জন্য পরামর্শ দেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এরই সঙ্গে এদিন থানার এএসআই তপন কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা গোপীবল্লভপুরের ঝাউরিশোল গ্রামে সাধারণ গরিব মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।অন্যদিকে কয়েকদফা গোপীবল্লভপুরের পূজা কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নিয়েছেন গোপীবল্লভপুর থানার আইসি সুদীপ ব্যানার্জি। এবং পুলিশ প্রশাসন সর্বদা নজর রাখছে যাতে কমিটিগুলো প্যান্ডেল তৈরির সময় সরকারি বিধি মেনে খোলামেলা প্যান্ডেল করে। পুলিশের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে এই সচেতনতার পাঠ অনেকাংশেই মানুষকে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করবে।
অন্যদিকে এই পাঠ নিয়ে খুশি গ্রামের মানুষেরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, অনেক ভুল ভ্রান্তি দূর হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভরসাও মিলেছে অনেকটা। তাঁরা জানান, মোট কথা ভিড়ে যাবনা, ভিড় করবনা। একে জন করে ঠাকুর দেখে সরে যাওয়ার পরই আর একজন দেখবে। আগের মত গায়ে গা ঘেঁষে প্রতিমা দর্শন চলবেনা।