ওয়েব ডেস্ক : বড়ো রেলস্টেশন গুলিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ঠিকা পায় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সে অনুযায়ী, নিয়োগ করা হয়েছে বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল – বিজেপি দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্ত্বর। ঘটনায় শাসকদলের অভিযোগ, এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির তরফে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এদিকে সময় যত গড়িয়েছে গড়িয়েছে পরিস্থিতি তত নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে আরপিএফ। যদিও ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে এদিনের ঘটনায় দুপক্ষই একে অপরকে দুষছে বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বেশ কিছু চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ঠিকা দেওয়া হয়েছে ধর্মরাজ রাই নামে এক বিজেপি নেতাকে৷ সে অনুযায়ী, ৪০ জন অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকালে কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গেলে আচমকা তাদের উপর চড়াও হন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বেশ কয়েকজন। কোনোভাবেই নতুন কর্মীদের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। এই নিয়ে স্টেশন চত্ত্বরে অশান্তির সৃষ্টি হয়। একসময় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-সিপিএম দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। সেসময় লাঠিচার্জ করে রেলপুলিশ।
ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, এদিন নতুন কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। তাদের দাবি, আইএনটিটিইউসি-র সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও নতুন কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। মূলতঃ এই নিয়েই দুপক্ষের বচসা থেকে সংঘর্ষ বাধে। একে অপরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর লাঠি চালিয়ে স্টেশন থেকে দুপক্ষকে হঠিয়ে দেন রেলপুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ২ পক্ষের মোট ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।
একই সাথে গেরুয়া শিবিরের দাবি, পুরনো কর্মীরা সময়মতো প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়ায় নতুন কর্মী নিয়োগ করেছেন ঠিকাদার। কিন্তু যেহেতু কর্মী নিয়োগে কাটমানি মেলেনি, সেকারণে নতুন কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গেলে এদিন অশান্তির সৃষ্টি করে তৃণমূল। যদিও এদিনের ঘটনার সাফাই দিতে গিয়ে পালটা তৃণমূলের দাবি, নিজেদের কর্মীদের কাজে লাগাতে পুরনো কর্মীদের না নিয়ে নতুন কর্মীদের নিয়োগ করেছে বিজেপি। এর জেরেই এদিন কথা-কাটাকাটি হয়।