নিজস্ব সংবাদদাতা: দিন কয়েক আগেই খড়গপুরে আসতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দেখা গিয়েছিল ঝাড়গ্রামেও। মূখ্যমন্ত্রী খড়গপুরে সভা করেছেন ৬ই অক্টোবর আর তিনি এসেছিলেন তাঁর ঠিক দুদিন আগেই এসেছিলেন তিনি। আসলে মূখ্যমন্ত্রী যেখানেই যান সেখানেই যেতে হয় তাঁকেও। যেতে হয় আগেই কারন তিনি মূখ্যমন্ত্রীর প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক। রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তা (ডিরেক্টর সিকিউরিটিজ) সেই বিবেক সহায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার বিকালে ভর্তি হয়েছেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এডিজি পদমর্যাদার এই পুলিশ কর্তার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। একটি সূত্র মারফৎ জানা গেছে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর শরীরে কোনও অসুস্থতা বা কোভিডের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে বুধবার রুটিন শারীরিক পরীক্ষার সময় চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় এবং তাঁকে কোভিডের ‘আরটিপিসিআর টেস্ট’ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই ওই পুলিশকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রশাসনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারন বিবেককে বিভিন্ন শীর্ষ অফিসার ও রাজনীতিকদের খুবই কাছাকাছি থাকতে হয়। ফলে তাঁর থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারেন কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, বুধবার পর্যন্তও বিবেক রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন। যদিও প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের থেকে তিনি দূরত্ব বজায় রেখেই ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তার পরেও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নবান্ন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিবেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
অবশ্য বিবেক সহায়ই প্রথম নয়। এর আগে কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশে কর্মরত একাধিক আইপিএস কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা থেকে শুরু করে গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা, যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা বিশ্বাসও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্য পুলিশেরও একাধিক কর্তা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৭ হাজার পুলিশ কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের প্রায় ৩ হাজার কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন গত ৭ মাসে। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।