নিজস্ব সংবাদদাতা: বয়স হয়েছে অনেকখানি, হাঁটুতে বাত, হাঁটতে কষ্ট তাই গঙ্গাসাগরে যাওয়া হয়নি অলংকারপুরের গোপাল জানা আর যামিনী রাউতের। তাতে কি, দিঘা আছে না ? মকর সংক্রান্তির পূন্য স্নানে তাই হাত ধরাধরি করে দুই বৃদ্ধ বন্ধু চলে এসেছেন দিঘায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হাঁটতে হয়েছে তিন কিলোমিটার। মাঝখানে দম নিতে দাঁড়িয়েছেন দু’বার। তারপর সমুদ্র স্নান। একই ভাবে পালশানদপুর, কিয়াগেড়িয়া, পায়া, শুকরাপানি, গম্ভীরা, সারিপুর সহ আশেপাশের প্রায় ৫০টিরও বেশি গ্রাম যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছে দিঘার সৈকতে।
দিঘা ফিসারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানালেন, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল আমাদের যে কারনে আমরা আগে ভাগেই সমুদ্রতট পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। রামনগর ১,রামনগর ২ ও কাঁথি ৩ ব্লকের পাশাপাশি অন্যান্য গ্রামগুলি থেকেও হাজার হাজার মানুষ আজ পুণ্যস্নানে অংশ নিয়েছেন। প্রতিবছর দিঘাতে পুণ্যস্নানের জন্য আসা পুন্যার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের মনে হচ্ছে দিঘা যেন একটা ছোটখাটো গঙ্গাসাগর হয়ে উঠছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পর্যটকদের কাছে দিঘা আবার যেন রথ দেখা আর কলা দেখা দুই ই হয়ে ওঠে। পর্যটনের পাশাপাশি মকরের পুণ্য স্নান সেরে নিচ্ছেন তাঁরা। হাওড়া , হুগলি , কলকাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা পর্যটকদের একাংশ জানিয়েছেন, সপরিবারে বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে গঙ্গাসাগর যাওয়ার অনেক অসুবিধা। তাই সপরিবারে এদিন দিঘা চলে এসেছেন বেড়ানোর পাশাপাশি সমুদ্র স্নানের পুণ্য অর্জনের জন্য।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুণ্য স্নান উপলক্ষ্যে এদিন পদিমা ১ ও পদিমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পুন্যার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের পাশাপাশি মিষ্টি ও ছোলা বিতরন করা হয়। অন্যদিকে পুলিশ সর্বশক্তি দিয়ে তৈরি ছিল দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য। নুলিয়া, সিভিক ভলেনিটিয়ার্স, স্পিড বোটে নজরদারি চালানো হয়েছে। হাঁটুজলের বাইরে যেতে বারংবার নিষেধ করা হয়েছে মাইকে।