ওয়েব ডেস্ক : নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে তা প্রতিদিন শাসকদলের নেতাদের নানা বক্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলীয় কর্মীসভা শুরু হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও বেফাঁস মন্তব্য করে চর্চায় রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে শুধুমাত্র অনুব্রত মন্ডলই নয়, রবিবার বেফাঁস মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। তবে মন্তব্য বিতর্কিত হলেও বেচারাম মান্নার এদিনের মন্তব্য যে শাসকদলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রবিবার হুগলির উত্তরপাড়ায় এক কর্মিসভায় যোগ দেন তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। এদিন তিনি নাম না করে দলেরই একাংশে প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আচমকা বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, “পার্টি থেকেই কেউ করে খায়, কিন্তু ওই একই ব্যক্তি কর্মীদের যদি বঞ্চিত করে, তা হলে কর্মীরাই তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেবে। সেই পরিবেশ হুগলি জেলায় তৈরি হচ্ছে। এটা আপনারা জেনে রাখুন।” শুধু তাই নয়, বিগত কয়েকবছর শাসকদলে কর্মী হিসেবে ছিলেন বেচারাম মান্না। সেখান থেকেই জননেতা হয়ে উঠে আসা। এত বছর দল করার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এদিন আফসোসের সুরে বেচারাম বলেন, “আমরা কর্মীদের মধ্যে থেকে উঠে এসেছি। তাই কর্মীদের জ্বালা, যন্ত্রণা— সব কিছু বুঝি। যাঁরা কর্মীদের কথা গ্রাহ্য করে না, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দেয় না, তাঁদের সঙ্গে ৬০০ জন নয়, ৬০ জনও থাকবে না।”
দলীয় সভায় বেচারাম মান্নার এদিনের বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্দরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দলের অধিকাংশের মতে, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার তাঁর বক্তব্য পুরোটাই হুগলির জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন। তবে বেচারাম যাই বলে থাকুক সেকথায় মাথা ঘামাতে নারাজ দিলীপ যাদব। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ যাদব বলেন, “দলকে যতটা শক্তিশালী করা যায়, দলের নির্দেশে সারাদিন সেই চেষ্টাই করি। কে কী বলেছেন এটা আমার বিষয় নয়। আমার একটাই দায়িত্ব, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সারাদিন কাজ করা। এটাই আমি করি। আমার দ্বারা যদি কোনও ভুল হয়, দল বললে তা সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নেব।”