ঝাড়গ্রাম আদালতে কীর্তিমান তারাপদ টুডু |
নিজস্ব সংবাদদাতা: নজির বিহীন ঘটনা! এ যেন বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। এক বছর ধরে থানা থেকে চুরি হয়ে গেছে ১৮টি বন্দুক। আর সেই বন্দুক চুরি করেছেন থানারই এক আধিকারিক। বুধবার এমনই আভিযোগে ঝাড়গ্রাম পুলিশের এক সাব ইনসপেক্টর ও এনভিএফ কর্মী এবং দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে এক সময় ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার মালাখানার দায়িত্বে থাকা সাব ইনসপেক্টর তারাপদ টুডু ওই এনভিএফ কর্মী মারফৎ বন্দুকগুলি পাচার করতেন গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুই ব্যক্তির কাছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে , তারাপদ টুডু পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে লালগড় থানা থেকে চলে গিয়ে জামবনী থানাতে কর্মরত ছিল। পুলিশ জানায় যে তারাপদ টুডুর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এন ভি এফ লক্ষ্মীরাম রানা, বিনপুরের বাসিন্দা সুধাংশু সেনাপতি ও তার ছেলে দিলীপ সেনাপতিকে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিত সিং ভারত রাঠোর জানিয়েছেন যে মালখানাতে ‘ সেফ কাস্টডি’ তে থাকা ১৮টি বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে না । সেগুলো বেআইনি ভাবে পাচার করা হয়েছে বলে জানার পর নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও সেই সময়ে মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তারাপদ টুডু কে গ্রেফতার করা হয়েছে । আমরা পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি ।”
পুলিশের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৬ জুলাই থেকে ২০১৯ য়ের সালের ২৭ জুন পর্যন্ত লালগড় থানার মালখানার দায়িত্বে ছিলেন তারাপদ টুডু। সেই সময়ে এই বন্দুকগুলি সেখান থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই বছর এই মালখানার দায়িত্ব নেন বিশ্বজিত পাঁজা । তারাপদ টুডু র কাছ থেকেই দায়িত্ব বুঝে নিতে হয় তাকে । সেই সময়ে তিনি এই অসঙ্গতি লক্ষ্য করে লালগড় থানার আই সি অরিন্দম ভট্টাচার্য কে। আই সি মঙ্গলবার তারাপদ টুডুর নামে অভিযোগ দায়ের করেন । তার পর তাকে ও অন্যান্য তিন জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবারই ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের এসিজেএম আদালতে হাজির করে টুডুকে ৫দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আদালতের সরকারি আইনজীবী পবিত্র কুমার রানা জানিয়েছেন, তারাপদ টুডুর নামে ৪০৯ ধারাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে চুরি যাওয়া বন্দুকগুলি একনলা এবং এগুলি বিভিন্ন মানু্ষের লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক। কেউ পরবর্তী কালে লাইসেন্স পুর্নবীকরন না করা, যার নামে বন্দুক তাঁর মারা যাওয়া ইত্যাদি নানা কারনে বন্দুকগুলি থানায় জমা ছিল। ওই বন্দুক পাচার হয়ে কোথায় কোথায় গেছে তা খোঁজ করছে পুলিশ।