ওয়েব ডেস্ক : মাস খানেক আগেই সুশান্ত মৃত্যু মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছিলেন,শুধুমাত্র বিহার নির্বাচনে জেতার জন্যই সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সাথে প্রতারণা করছে বিজেপি। রবিবার ফের একই কথা বললেন অধীর চৌধুরী। এদিন রিয়া চক্রবর্তীকে অধিক প্রতারিত না করে মুক্ত করার দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। এদিকে সুশান্তের মৃত্যু আদতে খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই AIIMS এর চিকিৎসকরা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, সুশান্ত সিং আদেও খুন হননি বরং গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একই সাথে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সুশান্তের মৃত্যুর সাথে মাদকযোগ যুক্ত করে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করাকে চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন।
কিছুদিন আগেই অধীরবাবু ট্যুইটারে দাবি করেছিলেন, “রিয়া রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছে। এখন বিজেপি প্রচার করে AIIMS ফরেনসিক দলকে অভিযুক্ত করতে পারে, যা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে রিয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।” একই সাথে এদিন অধীরবাবু বলেন, “আমরা সবাই সুশান্তের মৃত্যুতে দুঃখী, কিন্তু এক মহিলাকে অভিযুক্ত রুপে ফাঁসিয়ে সুশান্তকে সন্মানিত করা যেতে পারে না। আমি এর আগেই বলেছিলাম রিয়া চক্রবর্তী একজন নির্দোষ মহিলা, ওনাকে আর প্রতারিত না করে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। উনি ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হয়েছেন।”
এদিকে, সুশান্ত যে খুন হয়েছেন, এই তথ্য শনিবারই উড়িয়ে দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স। বিগত কিছুদিন ধরে অভিনেতা আদতে খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তা জানতে চিকিৎসক সুধীর গুপ্তার নেতৃত্বে একটি দল অভিনেতার পোস্টমর্টেম এবং ভিসেরা রিপোর্ট পুনরায় পরীক্ষা করছিলেন। পরীক্ষার পর তাঁরা খুনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে মৃত্যুর কারণ হিসাবে আত্মহত্যাকেই চিহ্নিত করেছেন। ইতিমধ্যেই AIIMS- এর তরফে সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। এবিষয়ে AIIMS- এর চিকিৎসক সুধীর গুপ্তা জানিয়েছেন, “সুশান্তের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শরীরে কোনওরকম মারপিটের আঘাত বা চিহ্নও পাওয়া যায়নি। এমনকি সুশান্ত মৃত্যুর সময় যে কাপড় পরে ছিলেন তাতেও কোনও রকম এই ধরণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। খুনের কোনও রকম চিহ্ন কোথাও নেই।”