শশাঙ্ক প্রধান: ডেবরার আদাবাসী নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী শাশুড়ি শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হাউর এলাকা থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও অন্য কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য বেশকিছু দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে কিশোরী কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ি সেটা মেনে নেয়নি এই নিয়ে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে।অশান্তি অসহ্য হলে বাপের বাড়িতে চলে আসত সে কিন্তু এখানেও শান্তি পেতনা। বাবা-মা কথা শোনাতো। এই পরিস্থিতিতেই কোনও উপায় না দেখে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনাই ঘটে।
বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরে ওই কিশোরীর অবিন্যস্ত দেহ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকায়। ভূমিজ ক্ষেতমজুর পরিবারের ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার দুপুরে বাপের বাড়ি ডেবরা থানার জলিমান্দা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার অজমৎপুর থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।
ওই দিনই বিকাল বেলায় এদিকে ডেবরা থানা এলাকারই পার্শ্ববর্তী থানা পিংলা সীমান্তবর্তী গ্রাম ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর থেকে দেহ মেলে তাঁর যা কিনা ওই কিশোরীর গ্রাম অজমৎপুর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে।
ফুলচাষে সমৃদ্ধ সেই চণ্ডীপুর গ্রামের ফুলচাষীরা মাঠে ফুল চাষীরা ফুল তুলতে গিয়ে দেহটি দেখতে পায়। ফুল চাষের মাঠেই একটি অগভীর স্যালোর গর্তের জলে পড়ে রয়েছে এক কিশোরীর দেহ। তার পরনের সালোয়ার অবিন্যস্ত। তাই দেখে গ্রামবাসীদের ধারনা হয় ধর্ষিতা হওয়ার পর খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার পর দেহ উদ্ধার করে। পরে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে দেহটি অজমৎপুর গ্রামের নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর।
বৃহস্পতিবারই পুলিশ জানিয়েছিল কিশোরীর মুখে গাঁজলার লক্ষণ ছিল। সম্ভবতঃ কীটনাশক পান করেছিল কিশোরী। শুক্রবার ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই আরও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ তবে তার আগে কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভোর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাউর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের মেদিনীপুর আদালতে পেশ করলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।