Homeএখন খবর২১ দিনের ধর্মঘটে IIT-Kharagpur দোকানদাররা, সঙ্কটের মুখে পরিষেবা

২১ দিনের ধর্মঘটে IIT-Kharagpur দোকানদাররা, সঙ্কটের মুখে পরিষেবা

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজেদের এক সদস্য ও আন্দোলনের নেতৃত্বকে হেনস্থার প্রতিবাদে IIT-kharagpur ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সমস্ত দোকানদাররা আগামী ২১ দিনের জন্য ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল। বৃহস্পতিবার থেকেই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সমস্ত দোকান বন্ধ থাকছে বলে জানিয়ে দিল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে থাকা দোকান ও দোকান কর্মচারীদের সংগঠন আইআইটি ক্যাম্পাস শপ অনার্স, ভেন্ডার এন্ড শপ ওয়ার্কাস আ্যশোসিয়েশন। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ সংগঠনের একটি সভায় এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানালেন সংগঠনের সম্পাদক মৃনাল দে।

মৃনাল দে জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার বিকালে IIT-Kharagpur ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় আমাদের একজন দোকানদার মালিক তথা আমাদের নেতৃত্ব পূর্ণেন্দু পানিগ্রাহীকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। ওই দিন সকালেই IIT কর্তৃপক্ষের কিছু অমানবিক ও বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে IIT ক্যাম্পাসের গেটের সামনে ২ঘন্টার গেট জ্যাম কর্মসূচি নিয়েছিলাম আমরা। আমাদের দাবি ছিল কেন্দ্র এবং রাজ্যের লকডাউন এবং আনলক বিধি মেনে দোকানদারদের দুবেলাই দোকান খোলার স্বাধীনতা দিতে হবে, ক্যাম্পাসে প্রবেশের চারটি গেটই খুলে দিতে হবে ইত্যাদি। সেই ঘটনার পরই হিংস্র হয়ে উঠেছে কর্তৃপক্ষ। আর তাই প্রতিহিংসা মূলক আচরন হিসাবে নিরাপত্তা রক্ষীদের দোকানদারদের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ণেন্দু পানিগ্রাহীর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা মানা যায়না। আমরা তাই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

উল্লেখ্য IIT-Kharagpur ক্যাম্পাসে এই মুহুর্তে ছাত্রছাত্রীরা না থাকলেও অধ্যাপক ও কর্মী মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার পরিবার রয়েছেন বিভিন্ন আবাসনে। এঁদের জন্য টেক মার্কেট ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলি মার্কেট কমপ্লেক্স রয়েছে আর সব মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা ৩০৪। মুদি, শাকসবজি, মাছ, মাংস ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান যা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের বাসিন্দা মিটিয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই দোকান বন্ধ থাকার ফলে তীব্র সঙ্কটের মধ্যে পড়বেন এই আবাসিকরা। এমনিতেই কোভিড কালীন পর্যায়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা আবাসিকদের বাইরে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি রয়েছে। তার ওপর একটি মাত্র গেট খোলা থাকায় আশেপাশের বাজার গুলিও সহজলভ্য না হওয়ায় সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আক্রান্ত পূর্ণেন্দু পানিগ্রাহী জানিয়েছেন, “আমরা দোকানদাররা এমনিতেই মরে রয়েছি। লকডাউন বা আনলক কোনও নিয়ম না মেনে IIT কর্তৃপক্ষ নিজের মত করে নিয়ম চালু করেছে। দোকানদাররা পুরো সময় দোকান চালাতে পারেনা, বাইরের কেউ বাজারে আসতে পারেননা ফলে বাজার মন্দা। দোকানদারদের শুকিয়ে মেরে অন লাইনে জিনিসপত্র আমদানি করা হচ্ছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ দোকানদারের কাছ থেকে ভাড়া পুরো আদায় করছে। তার ওপর যদি গায়ের জোর দেখাতে আসে তখন ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া উপায় কী।” সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিন বড়সড় প্রতিবন্ধকতার মুখে IIT-Kharagpur ক্যাম্পাস।

RELATED ARTICLES

Most Popular