কুয়ো থেকে তোলা হচ্ছে বাসটিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ১২ঘন্টার মধ্যে দুই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩৫জনের। আরও অন্তত ২০জন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন । ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রের নাসিকে যেখানে একটি বাস ভরা যাত্রী সহ গভীর কুয়োর মধ্যে ঢুকে যায়। এখনও অবধি এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬জনের। আহত হয়েছেন ২০ জন । অন্যদিকে বুধবার ভোরে সেই আতঙ্ক ফিরল ওড়িশার গঞ্জামে। এদিন তপ্তপানি ঘাটির কাছে একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ে যায় বাসটি। ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯জন। আহত কমপক্ষে ৪১ জন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার সন্ধেয় নাসিকের দুর্ঘটনায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। একটি সরকারি বাস ঢুলে জেলা হয়ে কালওয়ানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। উলটোদিক থেকে আসছিল একটি অটোরিকশা। মালেগাওঁ দেওলা রোডে এসে অটোরিকশাকে সজোরে ধাক্কা মারে বাসিটি। তার গতি এতটাই দ্রুত ছিল যে অটোরিকশাটিকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার ধারের একটি কুয়োয় পড়ে যায় সেই বাস। সেই সময় বাসটি ছিল যাত্রীতে ঠাসা। ফলে কুয়োয় বাসটি পড়ে যাওয়ায় লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৬টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে বলে খবর। এছাড়াও আহত ২০ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতকে মালেগাওঁ ও দেওলার সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে জানান নাসিক রুরালের ডিএসপি সদাশিব ওয়াধমারে। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধার কাজ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রে পরিবহন মন্ত্রী অনিল পরব। সেই সঙ্গে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, “নাসিকের কাছে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। মৃতের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে। আর আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।”
সেতু ভেঙে নিচে পড়ল বাস |
এদিকে, বুধবার ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৯জন। এদিন ভোর ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাসটি তিকরি থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তপ্তপানি ঘাটির কাছে আসতেই একটি ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যায় বাসটি। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকমবাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে বহরমপুর ও দিগপাহান্ডির হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় ২০জনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।