ওয়েব ডেস্ক : ইউজিসি-র নির্দেশ মেনে অবশেষে আগামী ১লা অক্টোবর থেকে এ রাজ্যে শুরু হচ্ছে ফাইনাল সেমেষ্টার। জানা গিয়েছে, ইউজিসির নির্দেশ অনুসারে গোটা পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ২ঘন্টা ১৫ মিনিটের মধ্যে। ২ ঘন্টায় শেষ করতে হবে লেখা পরীক্ষা। বাকি ১৫ মিনিটের মধ্যে কলেজের নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে জমা দিতে হবে উওরপত্র। তবে এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বহু প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরাই ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী নয়। এমনকি সে হিসাবে দেখতে গেলে স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই পরিস্থিতিতে সে সমস্ত পড়ুয়াদের কিভাবে পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হবে, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ওয়েব সাইটে প্রশ্নপত্র পাঠালে কোনোরকম অসুবিধায় যাতে না পড়তে হয়, সেসব যাচাই করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কলেজের তরফে টেষ্ট নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গত তিনদিন ধরে পরীক্ষামূলকভাবে কলেজগুলোতে টেষ্ট মেল পাঠাচ্ছে। এরপর সেগুলোই আবার ফরোয়ার্ড করছে কলেজগুলো। এভাবেই পরীক্ষার আগে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে মক টেস্ট করছে করছে কলেজগুলি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কলেজের তরফে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য তৈরি করেছেন বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনোভাবে অসুবিধা না হয় সেকারণে পরীক্ষার দিনগুলোতে অনেক কলেজই তাঁদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কলেজে হাজির থাকতে বলছেন। আবার বেশ কিছু কলেজের তরফে, যদি কোনো পরীক্ষার্থী কোনোভাবে ওয়েবসাইটে উত্তরপত্র জমা না দিতে পারে,সেক্ষেত্রে তারা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে যেন কলেজে এসে জমা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে চিন্তার বিষয় অন্য জায়গায়। এ রাজ্যের অনেক কলেজেই প্রতিবছর প্রচুর উত্তর-পূর্ব ভারতের পড়ুয়ারা পড়তে আসে। পরীক্ষক ক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। একই সাথে গ্রামের দিকের দুস্থ পড়ুয়ারা ইন্টারনেট ছাড়া কিভাবে পরীক্ষা দেবে না নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।