নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৪ বছর বয়সী এক অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের আভিযোগে এক সক্রিয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার পুলিশ। ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে দাবি করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের আভিযোগ ওই কর্মীর এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব থাকার জন্য তাঁকে কলঙ্কিত করার উদ্দ্যেশে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে। যদিও পুলিশ পাল্টা দাবি করেছে স্বাগতম সুর নামে ওই বিজেপি কর্মী তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশের বক্তব্য অনুয়ায়ী অভিযুক্ত ঐ ব্যাক্তি স্বীকারও করেছে এই ঘটনার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার দাঁতন পুলিশে আভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে নাবালিকার মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বাড়ী থেকে দেড় কিমি দুরের একটি স্কুলের ওই ছাত্রী যখন তাঁদের স্কুলের প্লাটিনাম জয়ন্তীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করে রাত সাতটা নাগাদ সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় মাঝ রাস্তায় জ্ঞাতি সম্পর্কের কাকু স্বাগতম সুর তাকে দাঁড় করায় এবং সাইকেলটিকে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে ছাত্রীটিকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। এরপর মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঐ ব্যাক্তি মেয়েটিকে জঙ্গলে সেই অবস্থায় রেখে দিয়ে তুর্কা বাজারে চলে যায়। মেয়ের ফিরতে দেরী হচ্ছে দেখে তার মা ও এক প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের পথে এগিয়ে যায়। যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে সাইকেলটি দেখতে পায়। সেখান থেকে খানিকটা দূরে মাঠের ঝোপের মধ্যে মেয়ে পোষাকহীন অবস্থায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের খবর দিয়ে তাদের সাহায্যে বাড়ীতে নিয়ে আসে মেয়েকে।তখনই রাতে দাঁতন থানায় ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানায় তার মা ও প্রতিবেশীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযুক্ত ব্যাক্তি ঐ রাত থেকে আর গ্রামে না ফিরে গা ঢাকা দেয়। বুধবার সকালেই স্থানীয় হাসপাতালে ছাত্রীকে ভর্তি করা হয় এবং পুলিশে আভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ নির্যাতিতার পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। মেদিনীপুর জর্জ কোটে ছাত্রীটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। বুধবার রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও দাঁতন বিজেপির মণ্ডল কর্মকর্তা মোসাফ মল্লিকের দাবি, স্বাগতম সুরকে গ্রেপ্তার করার ফন্দি ‘ ”অনেক দিন ধরেই আঁটছিল পুলিশ। যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তার আগের রবিবার স্বাগতমকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং অনেকক্ষন বসিয়ে রাখা হয়েছিল তখুনি পুলিশ কোনও একটি মামলা সাজানোর পরিকল্পনা করে কিন্তু আমরা কয়েকজন গিয়ে তাকে থানা থেকে বলে কয়ে ছাড়িয়ে আনি। এরপর আবারও তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ওই নাবালিকার পরিবারকে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, শুধুই নাবালিকার মায়ের আভিযোগ নয়, নাবালিকাও আদালতের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে। তাছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে মেয়েটির। আর তার ভিত্তিতেই আদালত অভিযুক্তর জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।