নিজস্ব সংবাদদাতা : ত্রিমুখী লড়াই ছিল, কিন্তু ঝুঁকি নিতে রাজী হয়নি দিল্লির জনতা। ভোট কাটাকুটির অঙ্কে বিজেপি যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল না করতে পারে তাই আপের ঝাড়ুকেই বেছে নিল জনতা। আর জনতার ধরা ঝাড়ু হাতেই ঝোড়ো ইনিংস খেলে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর আস্থার পরীক্ষায় এবছরও রীতিমত স্টার মার্কস পেয়ে পাশ করল আপ। আর গত ২১ বছর ধরে দিল্লি দখলের খোয়াব অধরাই রয়ে গেল বিজেপির।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আপাতত আগামী ৫ বছরে রাজধানীর প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ থাকছে আম আদমি পার্টির হাতেই। বিধানসভায় ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬৩টি আসন পেয়েছে কেজরি অ্যান্ড কোং। দিনের শেষে ফলাফল আপ ৬৩, বিজেপি ৭, কংগ্রেস ০, অন্যান্য ০। ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা বাড়লেও আশানুরূপ ফলাফল হয়নি গেরুয়া শিবিরের। ২০১৫র তুলনায় প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে আম আদমি পার্টির।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ এর মধ্যে ৬৭টি আসন নিয়ে সরকারে বসেছিল আপ। মাত্র ৩ জন বিজেপি বিধায়ক কার্যত কোণঠাসা ছিলেন। এবারের ভোটে বিজেপির সেই অবস্থার কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়েছে। তিন থেকে বেড়ে ৭ হয়েছে তাদের বিধায়ক সংখ্যা। তবে হাই প্রোফাইল কেন্দ্রগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। শতাংশের হিসাবে এবার আম আদমি পার্টি – ৬৩ (৫৩.৫৪%), বিজেপি – ০৭ (৩৮.৬৬%), কংগ্রেস – ০০ (৪.৩৬%) ২০১৫ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের স্কোর ছিল শূন্য। এবারও তার কোনও উন্নতি নেই। ঝাড়ু আর পদ্মের কাছে হাত কোনও বলই পেল না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও কংগ্রেস শিবিরের সাফাই, আপকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তারা লড়াই থেকে সরে গিয়েছে। তাই আপের এমন সাফল্যে নিজেদেরই সাফল্য বলে মনে করছে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানুষ যে রুখে দাঁড়িয়েছে, এই ফলাফল তারই বার্তা। বলছেন শীর্ষ নেতারা । দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল উজ্জীবিত করতে পারেনি গেরুয়া শিবিরকে। শাহিনবাগ, জামিয়া, জেএনইউ, বাঙালি মহল্লা মুখ ফিরিয়েছে বিজেপির মেরুকরণ রাজনীতি থেকে। এখানে হিন্দুত্ব কাজ করেনি কোনওভাবেই। আর দিল্লির পরীক্ষায় ফেল করল সংশোধিত নাগরিক আইন ও এনআরসিও।