নিজস্ব সংবাদদাতা: সবং থানার বড় বাবু বা ওসি আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মাথায় আক্রান্ত হলেন সেকেন্ড অফিসার তথা মেজো বাবু অতনু প্রামানিক। শনিবার সবং গ্রামীন হাসপাতালে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা হওয়ার পরই জানা যায় তিনি পজিটিভ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সামান্য কাশি, গলা ব্যথা নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। পরীক্ষার পরই তাঁর পজিটিভ আসে। শনিবার রাতেই তাঁকে ডেবরা হাসপাতালের সেফ হোমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ১লা সেপ্টেম্বরই আ্যন্টিজেন পরীক্ষাতেই পজিটিভ হয়েছিলেন সবং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত বিশ্বাস। থানার দায়িত্ব এসে পড়েছিল সেকেন্ড অফিসারের ওপর। ৫ই সেপ্টেম্বর মেজবাবুও আক্রান্ত হওয়ায় চাপে পড়ে গেল সবং থানা। জেলায় প্রথম সারির ২করোনা যোদ্ধার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও নজির হয়ে রইল। উল্লেখ্য সবংয়ের ওসিই প্রথম যিনি একটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবার তার পেছনে পেছনে মেজবাবু বা সেকেন্ড অফিসারের আক্রান্ত হওয়াটাও নজির হয়ে রইল।
উল্লেখ্য এই নিয়ে সবং থানার মোট ১৮জন কর্মী আক্রান্ত হলেন যার মধ্যে এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার একাধিক আধিকারিকরা ছাড়াও রয়েছেন কনস্টেবল, এনভিএফ, সিভিক কর্মীরা। ফলে যথেষ্টই চাপ বাড়ল থানার বিশেষ করে আইন শৃংখলা রক্ষার প্রশ্নে অবশিষ্ট পুলিশ কর্মীদের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব এসে বর্তাল।
অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এই যে ওসি আক্রান্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে সবংয়ে একই সঙ্গে ১০জন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মধ্যে ৮জন পুলিশ কর্মী একটি ব্যারাককেই অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার বানিয়ে থানার প্রাঙ্গনে ছিলেন বাকি ২ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডেবরা সেফ হোমে। কিন্তু পরবর্তীতে এঁদের সবাইকেই ডেবরা অথবা মেদিনীপুর তাঁতিগেড়িয়া সেফহোমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ওসি আক্রান্ত হওয়ার পর এতদিন নিজের আবাসনেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন কিন্তু শনিবার সামান্য অস্বস্তি অনুভব করায় মেজবাবুর সঙ্গে তাঁকেও শনিবার সন্ধ্যায় ডেবরা সেফহোমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবং ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে, থানার দুই শীর্ষ আধিকারিক সহ প্রতিটি পুলিশ কর্মী এবং থানা কর্মী সুস্থ আছেন তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গ যুক্ত তাই শারীরিক দিক থেকে কাউকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারন নেই।