Homeএখন খবরলকডাউনেও নারায়নগড়ে অব্যাহত তৃণমূলের কোন্দল, দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বাড়ি ভাঙচুর, মারধর

লকডাউনেও নারায়নগড়ে অব্যাহত তৃণমূলের কোন্দল, দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বাড়ি ভাঙচুর, মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচন যত কাছে আসছে ততই প্রকট হয়ে উঠছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় থানা এলাকার মধ্যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বনাম জেলা পরিষদ সদস্য সূর্যকান্ত অট্ট গোষ্ঠীর অনুগামীদের সঙ্ঘর্ষ এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে লকডাউনেও সেই সংঘর্ষের বিরতি ঘটলনা। সোমবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল নারায়নগড় থানার ধানঘরি গ্রাম।

এই সংঘর্ষে একপক্ষের যেমন ৩ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন তেমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির আ্যসবেসটর চাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ছুটে যেতে হয়েছিল বিরাট পুলিশ বাহিনীকে।

ঘটনা হল নারায়নগড় এলাকার মকরামপুর অঞ্চলের একদা সভাপতি লক্ষীকান্ত শীট। সূর্যকান্ত অট্টর অনুগামী শীটের দাপটে নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারন মানুষের। শুধু অন্যদল নয় নিজের দলের মধ্যেও তাঁর বিরোধীদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর দাপটে। বিরোধীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, মারধর করে হাত পা ভেঙে দেওয়া ছিল তাঁর দলের কাজ। তাঁর আমলেই দলীয় কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের মত ঘটনা ঘটে তিনজন তৃনমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। যদিও গোটা ঘটনাই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।

এরপরই শীটের জায়গায় মকরাম পুরের দায়িত্বে আসেন দলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের অনুগামী নাকফুড়ি মুর্মু। দায়িত্ব নেওয়ার পরই লক্ষীকে মাঝ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপরই দমে যান লক্ষ্মী।
সম্প্রতি লক্ষ্মী বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে এমন অজুহাত খাড়া করেই শুরু হয়েছে নতুন প্রেক্ষাপট। নাকফুড়ি মূর্মু জানিয়েছেন গত লোকসভা ভোটের পর বিজেপিতে যাওয়া লক্ষী শীটের লোকজনেরা ধানঘড়ি গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয়।

যদিও লক্ষী শীটের ভাইপোর দাবি তারা তৃণমূলই করে। লক্ষী শীটের ভাইপো সঞ্জয় জানিয়েছেন, তারা মাঠে কাজ করার সময় তার বাড়িতে তৃণমূলের কোনও এক গোষ্ঠির লোক জনেরা এসে বাড়ি ভাঙ্গচুর চালায় এবং তাদের মারধর করে।
এরপরই লক্ষীর গোষ্ঠীর পাল্টা মারে জখম হন নাকফুড়ি গোষ্ঠীর তিনজন যার মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। বারংবার এই ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে নালিশও জানায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular