নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশ আর স্বাস্থ্যকর্মীদের মতই ময়দানে নেমে সম্মুখ সমরে লড়াই করছেন তাঁরা। কন্টেনমেন্ট জোন কিংবা সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজ বা হাসপাতাল চত্বর জীবানুমুক্ত তথা স্যানিটাইজ করার দায়িত্ব তাঁদের। মানুষের মতই সংক্রমিত হচ্ছেন একেকটি এলাকা, ভবন, দপ্তর। আর সংক্রমন ছড়ালেই তা জীবানুমুক্ত করে পুনরায় নিরাপদ ব্যবহার যোগ্য করে তোলা এবং জীবন যাত্রা, অফিস, আদালত সচল করে রাখতে এগিয়ে আসতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। আর সে কারনেই পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মতই তাঁরাও করোনা যোদ্ধা। খড়গপুরে অবস্থিত সেই দমকল বাহিনীর ১৪যোদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানা গেছে। গত কয়েকদিনের মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন এঁরা।
দমকল বাহিনী সূত্রে জানা গেছে কয়েকদিন আগেই এক দমকল কর্মী সামান্য ঠান্ডা লাগায় করোনা পরীক্ষা করান তাতেই পজিটিভ আসে। উপসর্গ এতটাই সামান্য ছিল যে অবাক হয়ে যান বাকি কর্মীরা। এঁদের মধ্যে কয়েকজন পরীক্ষা করাতেই ৩জন পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরেই ভয় পেয়ে যান কর্মীরা। এরই মধ্যে সবং থানায় ১০কর্মী আক্রান্ত হয়ে পড়েন। প্রয়োজন হয় থানার ভবন স্যানেটাইজ করার জন্য গিয়েছিলেন কয়েকজন দমকল কর্মী। তাঁদের মধ্যে এক কর্মী সবং গ্রামীন হাসপাতালে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করাতে গেলে তিনিও পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন। আক্রান্ত কর্মীদের দাবি, এরপরই তাঁদের কয়েকজন কর্মী ভয়ে ভয়ে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করাতে গেছিলেন যেখানে ৫জনের করোনা পজিটিভ আসে। রবিবার বিকালে ফের ৪জনের পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
আক্রান্ত কর্মীদের দাবি তাঁরা সবাই চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী বলেই জানা গেছে। তাঁদের বক্তব্য আক্রান্ত জানার পরও তাঁদের কাজ করে যেতে হচ্ছে কারন কোয়ারেন্টাইন হওয়ার কোনও নির্দেশ তাঁদের জন্য নেই। স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন হলে তাঁদের বেতন কাটা যাবে। এমতাবস্থায় তাঁদের কাজ করে যেতেই হচ্ছে। এক কর্মী জানান, “আমাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সব মিলিয়ে ১৫ জন পরীক্ষা করিয়াছিলাম যার মধ্যে ১৪ই জনই পজিটিভ। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে তারই মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।’