ওয়েব ডেস্ক : আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে কেন্দ্রের তরফে মেট্রো রেল পরিষেবা চালুতে অনুমতি দেওয়া হলেও আপাতত লোকাল ট্রেন চালানোয় ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্র৷ কিন্তু ট্রেন চালু হলেই রাজ্যের বড়ো স্টেশনগুলি উপচে পড়বে ভিড়। সেকারণে ট্রেন চালু হওয়ার আগেই রেল বোর্ডের তরফে ভিড় রুখতে আগাম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহেই রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ যাদব ভার্চুয়াল বৈঠবে একটি প্রস্তাব রেখে ছিলেন। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী করোনা পরবর্তীতে পুনরায় ট্রেন চললে অকারণ ভিড় রুখতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা করা হলে অনেকটাই ভিড়ে লাগাম আনা সম্ভব হবে।
এরপরই হাওড়া ও শিয়ালদহের ডিআরএম ইশাক খান ও এসপি সিং জানিয়েছেন, বোর্ডের নির্দেশ পেলে তবেই নতুন ভাড়া কার্যকর করা হবে।
তবে ট্রেন চালু হবে প্রাথমিকভাবে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি করলেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন পূর্ব রেলের এক কমার্শিয়াল ম্যানেজার। এবিষয়ে তিনি বলেন, ” হাওড়া ডিভিশনে প্রায় ২০টি ব্যস্ত স্টেশন। শিয়ালদহ ডিভিশনে নানা শাখায় প্রায় ৩৬টি ব্যস্ত স্টেশন রয়েছে। দুই ডিভিশনে দৈনিক প্রায় পৌনে এক কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। ২৫% ট্রেন চালানো শুরু হলেও, হাওড়ায় ৪২ জোড়া ও শিয়ালদহে ১৯২ জোড়া ট্রেন চালাতে হবে। ফলে ভিড়ের আশঙ্কা থাকছেই।”
তবে যদি এই প্রস্তাব ভবিষ্যতে কার্যকর হয় রাস্তার ধারের স্টেশনগুলিতে হকার ও অবৈধ প্রবেশকারী রুখতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বাড়ানোটা জরুরি বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। তাঁদের দাবি, স্টেশনে হকাররা সামান্য পাঁচ টাকার টিকিটের পরিবর্তে প্ল্যাটফর্মে বসে থাকেন। এতে প্ল্যাটফর্মে ভিড় ক্রমশ বাড়ে। যদি টিকিটের মূল্য বাড়ানো যায় তবে ভিড় অনেকটাই কমবে। তবে শুধুমাত্র এই পদ্ধতিতে ভিড় কমালেই চলবে না। সেই সাথে যাত্রীদের নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পড়তে হবে মাস্ক। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে একদিকে যখন প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে রেল, সেসময় অন্যদিকে নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় হকাররা। একেই ট্রেন বন্ধ থাকায় দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ বন্ধ রোজগার,তারওপর ট্রেন পরিষেবা চালু হলে যদি হকারদের প্ল্যাটফর্ম চত্বরে না ঢুকতে দেওয়া হয় তবে কোথায় দাঁড়াবে কয়েক হাজার হকারের ভবিষ্যত? এই নিয়েই চিন্তিত হকাররা।