নিজস্ব সংবাদদাতা: কয়েকদিন হল খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে আলাদা করে চালু হয়েছে উপসর্গহীন রোগিদের জন্য কিন্তু এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে অন্য রকম সমস্যা। করোনা সংক্রমিত হয়ে যেতে পারেন এই ভয়ে পুরো হাসপাতালেরই বর্জ্য নিতে চাইছেনা বর্জ্য নিষ্কাশনকারি সংস্থা। এর ফলে তীব্র সঙ্কটে পড়েছে মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুরো হাসপাতাল জুড়ে জমতে শুরু করেছে হাসপাতাল বর্জ্য। কখনও কখনও পিপিই কিট, গ্লোভস ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে হাসপাতাল চত্ত্বর জুড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প রাস্তার খোঁজ করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দু’রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতালের দু’ধরনের বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এক ধরনের বর্জ্য হল স্বাভাবিক। যেমন সব জায়গায় হয়ে থাকে। কাগজ, কাপড়, পলিথিন, প্লাস্টিক, অতিরিক্ত খাদ্য ইত্যাদি। এই বর্জ্য পদার্থ সংগ্ৰহ করার দায়িত্ব পৌরসভার কিন্তু গত মাস খানেক ধরে পৌরসভা সেই বর্জ্য পরিষ্কার করছেনা। ফলে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে যত্রতত্র সেই আবর্জনা জমছে। বর্ষা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবাহিত সেই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতাল জুড়ে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। পৌরসভা জানাচ্ছে সম্প্রতি শহরের প্রান্তে হিরাডিহি এলাকার ডাম্প ইয়ার্ড স্থানীয় মানুষদের বিক্ষোভের কারনে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এরফলে গোটা শহর জুড়েই জমছে বর্জ্য। সেই বর্জ্য সরাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে পৌরসভাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আপাতত অনিয়মিত হবে আবর্জনা সরানোর প্রক্রিয়া।
কিন্তু এর চেয়েও মারাত্মক বর্জ্য হল হাসপাতালের নিজস্ব বর্জ্য যা চিকিৎসার কাজে লাগার পর অতিরিক্ত হয়। যেমন গজ, ব্যান্ডেজ, স্যালাইন, ইনজেকশন, আ্যমপুল ইত্যাদি। এই মেডিকেল ওয়াস্ট বা হাসপাতাল বর্জ্য সরানোর জন্য বিশেষ ভাবে চুক্তিবদ্ধ হলদিয়ার একটি সংস্থা। খড়গপুর ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের বর্জ্য এরাই সংগ্ৰহ করে এবং হলদিয়ার নিজস্ব প্ল্যান্টে নিয়ে গিয়ে তা নষ্ট অথবা পুন:ব্যবহার বস্তুতে পরিনত করা হয়।
সমস্যা হচ্ছে সেফ হোম চালু হওয়ার পর এরা এই বর্জ্য সরাতে চাইছেন না। এই ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা বলছেন, এই বর্জ্য সরাতে গিয়ে তাঁরা নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন আর সে কারণেই গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালের বর্জ্য সরানো যাচ্ছেনা। এই দুই প্রকার জঞ্জালে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কি করা যায় তাই নিয়ে চিন্তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানিয়েছেন, ‘বাস্তবিকই জীবানু যুক্ত বর্জ্য পদার্থের জন্য বায়োগার্ড পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলছি যাতে বায়োগার্ড পদ্ধতি চালু করা যায়।
খড়গপুর সেফ হোমের বর্জ্য নিতে চাইছেনা নিষ্কাশন সংস্থা! সঙ্কট মহকুমা হাসপাতালে, জমছে আবর্জনা
RELATED ARTICLES